একতরফা নির্বাচনে আপত্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের

একতরফা নির্বাচনে আপত্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের

এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্ক: বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রভাবশালী দেশগুলো। ভোটে সব দলের অংশগ্রহণ দেখতে চান তারা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা এ নিয়ে ইসির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি নানামুখী চাপও দেয়া হচ্ছে। ইউরোপের ২৭ রাষ্ট্রের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেই শুধু পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইইউ। ফিরে গিয়ে ইইউর হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেফ বোরেলের কাছে তাদের মতামতসহ মূল্যায়ন রিপোর্ট জমা দেবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বাংলাদেশে নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবেন জোসেফ বোরেল। তিনি ইতোমধ্যে বলেছেন, তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাতে প্রস্তুত। তবে পর্যবেক্ষক তখনই পাঠানো হবে যখন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিগত দুটি নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪ সালে একতরফা ভোট বিশ্বের কাছে একটি নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও ভোটের নিরপেক্ষতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে। দিনের ভোট রাতে হয়েছে বলেও বিরোধী শিবির অভিযোগ করে। ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে ইইউ একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠায়। তাদের রিপোর্ট ইতিবাচক না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ইইউ কোনো পর্যবেক্ষক মিশন পাঠায়নি। ২০১৪ সালেও তারা আসেনি। তারা মনে করেন, ফের একতরফা নির্বাচন হলে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সম্পর্কে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠালে ভোট নিয়ে বিশ্বে একটা নেতিবাচক বার্তা যেতে পারে। কারণ ওই দেশগুলো সম্পর্ক জোরদারে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যদিও বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

এসবিডি নিউজ ডেস্ক