নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া

এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্ক: আমদানি শুল্ক কমানো, ওএমএস-এ চাল বিক্রি ও বাজার তদারকিসহ সরকারের নানা উদ্যোগে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। পাশাপাশি খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা। তবে এখনও অন্যান্য সব ধরনের পণ্যের দাম যেন আকাশছোঁয়া। রাজধানীর খুচরা বাজারে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। নতুন করে সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা। সঙ্গে আটা-ময়দা, আদা-রসুন কিনতে এখনও ক্রেতার বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার ও রামপুরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে প্রতি মাসে ৯টি অত্যাবশকীয় পণ্যের দাম বেঁধে দিতে চায় সরকার। পণ্যেগুলো হচ্ছে-চাল, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল (সয়াবিন, পাম), পরিশোধিত চিনি, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, রড ও সিমেন্ট। মূল্য নির্ধারণের পর নির্ধারিত মূল্য থেকে কেউ বেশি টাকা আদায় করলে শুধু জরিমানা নয়, সরাসরি মামলা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সূত্র জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ নয়টি পণ্যের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করার কাজ চলছে। আমদানি ও উৎপাদন খরচ, পরিবহণ ভাড়াসহ বিভিন্ন বিষয় সামনে রেখে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দাম জানানো হবে।

সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন পণ্য আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতি মাসে পণ্যের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ কাজ শুরু করা হবে। এরচেয়ে বেশি যদি কেউ নেয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে শুধু জরিমানা নয়, মামলা করা হবে। আইনে ৩ বছরের জেল বা কোথাও কোথাও আরও বেশি জেল-জরিমানা আছে। পণ্যের সংখ্যা কোনো বিষয় নয়, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়বে-কমবে। ট্যারিফ কমিশনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট মানুষকে নিয়ে এ দায়িত্ব পালন করবেন।

এদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা। এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হয়েছে ১০০-১৩০ টাকা। গাজর ১২০-১৩০ টাকা, বরবটির কেজি ৭০-৮০ টাকা, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা, কাঁকরোল ৫০-৭০, পটোল ও চিচিঙ্গা ৫০ টাকা ও প্রতি কেজি করলা বিক্রি হয়েছে ৬০-৮০ টাকা।

এসবিডি নিউজ ডেস্ক