ফের গ্রেফতার নীলাঃ এবার ৩ দিনের রিমান্ড

ফের গ্রেফতার নীলাঃ এবার ৩ দিনের রিমান্ড

সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের প্রধান আসামি কাউন্সিলর নূর হোসেনের অন্যতম ঘনিষ্ঠজন ‘বান্ধবী’ হিসেবে পরিচিত সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলাকে একটি হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সিদ্ধিরগঞ্জের জুয়েল নামের এক যুবক হত্যা মামলায় নীলাকে ২৬ মে (সোমবার) সকালে গ্রেফতারের পর ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট যাবিদ হোসেনের আদালতে শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন রিমান্ডের বিষটি নিশ্চিত করেছেন। জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন জানান, সকাল ৭টায় নীলাকে তার বাসা থেকে আটকের পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আনা হয়। সেখান থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, নীলাকে সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়নি। তাকে ২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর সংঘটিত জুয়েল হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গত ১৮ মে আলোচিত সাত হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে নীলাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে নীলা ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর পর প্যানেল মেয়র নির্বাচনে নূর হোসেন ১ নম্বর প্যানেল মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় নীলার সঙ্গে নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। প্রয়াত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম নীলার উকিলবাবা হলেও সে সময় নূর হোসেনের পক্ষেই ছিলেন তিনি। নীলা ও নূর হোসেন সম্পর্কে নানা কথা শোনা যায়। একপর্যায়ে নীলা তার স্বামী-সংসার ছেড়ে নূর হোসেনের ভাড়া করে দেওয়া ফ্ল্যাটে ওঠে। নূর হোসেন নীলাকে ৩৫ লাখ টাকায় দামি গাড়ি কিনে দেন বলে শোনা যায়। অভিযোগ আছে, নীলাকে নূর হোসেনের কাছ থেকে ফেরাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তার বাবা-মা। উল্টো বাবা-মা ও তার স্বামীকে শায়েস্তা করতে নীলা নূর হোসেনের প্রভাবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে ব্যবহার করেন। গত বছরের মাঝামাঝি সময় বিয়ে না করায় নীলা নূর হোসেনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ করতে যান সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়। কিন্তু থানা পুলিশ তার কথায় কর্ণপাত না করায় নীলা থানার সামনের রাস্তায় গাড়ির নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

বিশেষ প্রতিনিধি