১ মেঃ মেহনতি জনতার অধিকার আদায়ের দিন

১ মেঃ মেহনতি জনতার অধিকার আদায়ের দিন

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ‘দুনিয়ার মজদুর ভাই সব, আয় এক মিছিলে দাঁড়া, নয়া জমানার ডাক এসেছে, এক সাথে দে সাড়া’। আজ মহান মে দিবস। বিশ্বের মেহনতি জনতা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও সংহতির প্রতীক হিসেবে এ দিনটি পালন করছে। সুদীর্ঘ ১২৮ বছর আগে ১৮৮৬ সালের মে মাসে শ্রমঘণ্টা (আট ঘণ্টা) নির্ধারণের দাবিতে আমেরিকার শিকাগো শহরের ‘হে মার্কেটে’ নির্যাতিত শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ জনসভায় মালিক এবং সরকারপক্ষের বর্বরোচিত আক্রমণ, গুলিবর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে মহান মে দিবসের সূচনা হয়। সেই দিন ১০ শ্রমিকের জীবন আর অসংখ্য শ্রমিকের রক্ত ঝরিয়ে জনতার জোয়ার থামিয়ে দিতে পারেনি শোষকশ্রেণী। এর মাত্র তিন বছরের মাথায় ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শিকাগো ট্র্যাজেডিকে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেয়া হয়। সেই থেকে আজ অবধি শ্রমিকের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের সংগ্রামী চেতনার অমিত তেজ সঞ্চারের দিন হিসেবে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। মহান মে দিবস একটি ঐতিহাসিক দিন। মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যে কোন সংকটে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে মে দিবস পালন করছে বিশ্বের সব দেশের শ্রমিকরা। মে দিবস প্রমাণ করে নির্মমতা এবং রক্ত ঝরিয়ে শ্রমিকের ন্যায্য দাবিকে সাময়িকভাবে পেছানো গেলেও গলাটিপে হত্যা করা যায় না। বরং শ্রমিকের ন্যায়সঙ্গত দাবির মুখে মালিকপক্ষকে মাথা নোয়াতে হয়। আজ আট ঘণ্টা কাজ করার স্বীকৃতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই শ্রমিকের দাবিকে আইন করে মালিকপক্ষকে মানতে বাধ্য করেছে। মে দিবসকে শুধু আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে পালন না করে মালিকের শোষণের হাত থেকে শ্রমিককে বাঁচানোর দাবি জানিয়েছে শ্রমিকরা। দেশে বিরাজমান শ্রমিক-মালিক সমস্যা নিরসনের দাবিও জানিয়েছে তারা।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। মে দিবস উপলক্ষে আরও বাণী দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

নিজস্ব প্রতিনিধি