সাভার ট্রাজেডিঃ মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০৪, ২ হাজার ৩৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে

সাভার ট্রাজেডিঃ মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০৪, ২ হাজার ৩৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে

পুলক চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সাভারে ধসে পড়া ভবন ঘিরে এখন কেবল লাশের গন্ধ আর স্বজন হারাদের কান্নার রোল। তাদের চোখে-মুখে কেবল বেদনা আর শঙ্কা। জীবিত কিংবা মৃত যাই হোক প্রিয় মানুষটাকে ফেরত পাওয়ার আকুতি তাদের। ২৬ এপ্রিল  (শুক্রবার) দুপুর ১২টা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০৪। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২ হাজার ৩৭০ জনকে। সাভার থানায় নিখোঁজদের সন্ধান চেয়ে জিডি করা হয়েছে ৫০০ জনের।

অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লাশ হস্তান্তরে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ২৮১ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ৩৯টি লাশ রয়েছে। যাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগের লাশ ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। সর্বশেষ খবর অনুয়ায়ী, ঢাকা মেডিকেল কলেজে (মর্গে) ১৫টি লাশ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ নারী ও ৪ জন পুরুষের মৃতদেহ রয়েছে। ধসে যাওয়া ওই ভবনের নিচে আরও ২ হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করছেন উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসা স্থানীয়রা। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিজিএমইএর হিসাব অনুযায়ী, ওই ভবনের পোশাক কারখানার ৫টি ইউনিটে ৩ হাজার ১২২ জন শ্রমিক কাজ করতেন। এছাড়া নিচের দুই তলা ছিল মার্কেট। সেখানেও অনেক মানুষ ছিলেন। বহু মানুষ এখনও ধ্বংস স্তূপে আটকে রয়েছেন। ধ্বংস স্তূপের ভেতর থেকে আটকে পড়া মানুষ জনের চিৎকার শোনা যাচ্ছে। অনেক মহিলা, পুরুষ তাদের বের করার জন্য আকুতি জানিয়ে চিৎকার করছেন। অনেকে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্টের কথা বলছেন। কিন্তু ইট, লোহা আর কংক্রিটের স্তূপে এমনভাবে তারা আটকে রয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা তাদের উদ্ধারে কোনো নিরাপদ রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না।  এখনও উদ্ধার কাজ চলছে। উদ্ধার কাজ শেষ হবে কবে কখন তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। তবে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি, ভালোবাসা সবই আছে চাপাপড়া হতভাগাদের সঙ্গে।

নিজস্ব প্রতিনিধি