বগুড়ায় লাল পতাকার নেতাকর্মীদের তৎপরতা বাড়ছেঃ সহিংসতার আশঙ্কা

বগুড়ায় লাল পতাকার নেতাকর্মীদের তৎপরতা বাড়ছেঃ সহিংসতার আশঙ্কা

বিশেষ প্রতিনিধি,বগুড়া থেকে,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া, বগুড়া সদর, শাজাহানপুর, নন্দীগ্রাম ও কাহালু থানায়  ৩মার্চ বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের পৈশাচিক তাণ্ডবে থানায় দায়েরকৃত ৫৭টি মামলায় জড়িত এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত প্রায় কয়েক হাজার আসামীরা আত্মগোপনে রয়েছে। তবে এ পৈশাচিক ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের সংখ্যা আশানুরূপ নয় বলে ক্ষতিগ্রস্থরা জানিয়েছেন। এদিকে আত্মগোপনে থাকা বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার না হওয়ার জন্য সংগঠিত হচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্যসূত্রে জানা গেছে। আত্মগোপনকারীরা নওগাঁ জেলার রানীনগর, আত্রাই, নাটোর জেলার সিংড়া, নলডাঙ্গা, বগুড়া জেলার আদমদীঘির দক্ষিনাঞ্চল, নন্দীগ্রাম ও কাহালু থানা এলাকায় স্থবির হয়ে যাওয়া লাল পতাকা নামে পরিচিত পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি(এমএল) এর নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। গ্রেপ্তার প্রতিরোধে আত্মগোপনকারী বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা শক্তি সঞ্চয় করে গুরুত্বপূর্ন কিছু স্থাপনার ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করছে বলে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নিকট তথ্য রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৩০মার্চ গনমাধ্যম কর্মীদের নিকট দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বগুড়া আ’লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন বলেন, সারা জেলায় আত্মগোপনে থাকা ৩মার্চ পৈশাচিক তান্ডবে জড়িত বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে আবারও নাশকতা ঘটানোর প্রস্তুতি গ্রহন করছে। এ আশংকায় তিনি প্রশাসন, দলীয় নেতাকর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে জনগনকে সাথে নিয়ে নাশকতা প্রতিরোধ করার আহবান জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সিরাজগঞ্জ ও চাপাইনবাবগঞ্জে আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর যে সস্বস্ত্র হামলা হয়েছে তাতে তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এ জন্য আসামী ধরতে রাতে কোন গ্রেপ্তারাভিযান না চলানোর চিন্তা ভাবনা করছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, নওগাঁ জেলার পূর্বাঞ্চল, নাটোর জেলার উত্তরাঞ্চল ও বগুড়া জেলার পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির অবস্থান অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায় অধিকাংশ লাল পতাকা বাহিনী খোলস পাল্টিয়ে ইতিমধ্যে বিএনপির সাথে মিশে গেছে। এ মেরুকরণ পুলিশের জন্য নতুন করে অশনিসংকেত শুরু হয়েছে বলে এলাকার অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। অপরদিকে নওগাঁ জেলার রত্তাক্ত জনপদ হিসাবে পরিচিত রানীনগর ও আত্রাই এলাকার জামায়াত শিবিরের পরীক্ষিত বন্ধু বাংলা ভাই বাহিনীর নেতাকর্মীদেরকে সংগঠিত করার জামায়াত শিবির নেতাকর্মীরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সরকারী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানতে পেরেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এলাকার অভিজ্ঞ মহল মনে করেন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকতেই বিএনপি ও জামায়াত শিবির নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামীলীগ সহ সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর প্রকাশ্য দিবালোকে যে পৈশাচিক হামলা চালিয়ে যে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তা ১৯৭১ সালে পাকহানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসরদের পৈশাচিকতাকে ছাড়িয়ে গেছে। ভবিষ্যতে যদি বিএনপি জামায়াত জোট দেশের ক্ষমতায় আসে তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলোর কি ধরনের করুন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তা সহজেই অনুমান করা যায়। তাঁরা আরও মনে করেন সরকারকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্বত রাখতে এবং গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বাস্তবতার নিরীখে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে।

বিশেষ প্রতিনিধি