২ মার্চ পতাকা ওড়ানো কর্মসূচিঃ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ডা. ইমরান

২ মার্চ পতাকা ওড়ানো কর্মসূচিঃ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ডা. ইমরান

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ “আমরা সবাই বাঙালি এটাই আমাদের পরিচয়। আমাদের পূর্ব পুরুষরা পাকিস্তানী হানাদার ব‍াহিনীকে পরাজিত করেছে। আমরা তাদের দোসরদের পরাজিত করে ঘরে ফিরব।” ১ মার্চ (শুক্রবার) গণজাগরণ চত্বরের সমাবেশে এ কথা বলেছেন গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেন, “গণজাগরণ মঞ্চ অহিংস আন্দোলন করছে। কোনো নৈরাজ্য সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেবে না গণজাগরণ মঞ্চ। আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নেব না। সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্তিশালী করে জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করবে বলে আশা করি।” তিনি বলেন, “আমাদের রক্তে লালন রবীন্দ্রনাথের মানবতাবোধ যেমন মিশে আছে, তেমনি আছে সুকান্ত নজরুলের বিদ্রোহী চেতনা। বাংলার মানুষ মাথা নত করতে শেখেনি। যারা যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছেন তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, ভয় দিয়ে লাভ নেই। আমরা আন্দোলন শেষ না করে ঘরে ফিরছি না।” ইমরান বলেন, “জামায়াত শিবিরের হায়েনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ১৬ কোটি দেশপ্রেমিক জনতা জাগ্রত রয়েছে। পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না। এখনও সময় আছে ভালো পথে আসার।” তিনি বলেন, “একটি রাজনৈতিক দল, যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়ে আসছিল। আমরা বার বার আহ্বান করেছিলাম তাদের সঙ্গ ত্যাগ করার জন্য। তারা আমাদের কথা শোনেনি। তারা মঙ্গলবার হরতাল দিয়েছে।” ইমরান বলেন, “আমরা ৫ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দিয়েছিলাম, যুদ্ধাপরাধীদের আর কোনো আঁচড় ফেলতে দেব না বাংলার মটিতে। সে কারণে তাদের হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। আগামীতে হরতাল প্রতিহতের জন্য প্রস্তুতি নিন।” তিনি বলেন, “জামায়াত-শিবির একটি পতাকা ছিঁড়েছে। শনিবার পতাকা ওড়ানো কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। তাদের বুঝিয়ে দিতে চাই, এখনও ১৬ কোটি পতাকা রয়েছে।”

ডা. ইমরান বলেন, “দেল্যা রাজাকারের রায়ে ১৬ কোটি মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটেছে। গণজাগরণ মঞ্চ কোন ভুল সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমাদের এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।” তিনি বলেন, “জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব নজিরবিহীন। তারা পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মানুষ প্রতিরোধ শুরু করেছে। আপনারা সবাই এতে সামিল হন।” তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার স্পষ্ট হয়েছে হায়েনাদের চেহারা। তারা ২০টির বেশি স্থানে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। মন্দির পুড়িয়ে দিয়েছে। আপনারা হিন্দু ভাইয়ের পাশে দাঁড়ান। যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে। তিনি বলেন, “বিভ্রান্ত করে কিছু তরুণদের রাজপথে নামানো হয়েছে। আমরা ধিক্কার জানাই। আর সেইসব তরুণদের বলতে চাই, আপনারা ভুল পথে আছেন। সঠিক পতে আসুন। এই রাজাকাররা আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না।”

নিজস্ব প্রতিনিধি