আদমদীঘিতে যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে হত্যার চেষ্টা

আদমদীঘিতে যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে হত্যার চেষ্টা

চপল সাহা,বগুড়া থেকে,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ডুমুরী গ্রামে একদল সন্ত্রাসী শিরিন আক্তার (২৩) নামের স্বামীকে পরিত্যাগ করা এক কলেজ ছাত্রীর দু’পায়ের রগ কেটে ও গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ এবং বুকে ধারালো অস্ত্রাঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। লোমহর্ষক এ ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে। শিরিনা এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তাকে ঢাকা এ্যাপোলো হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিরিনের বাবা আজিজার রহমান বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে শিরিনের সাবেক স্বামী সোহেল ইবনে করিম সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডুমুরিগ্রামের আজিজার রহমানের মেয়ে শিরিন আক্তার প্রায় দেড় বছর পূর্বে  উপজেলা সদরের তালশন গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সোহেল ইবনে করিমের (২৮) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করে। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে স্বামী সোহেল যৌতুক দাবি করে স্ত্রী শিরিনাকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। এর এক পর্যায়ে শিরিনা বাবার বাড়ীতে চলে আসে এবং চলতি সালের ১৮ আগস্ট স্বামী তালাক করে। এর পর থেকে শিরিন আকতার তার বাবার বাড়ী ডুমুরীগ্রামে থেকে আদমদীঘি সদরের রহিম উদ্দিন ডিগ্রী কলেজে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিল।  উক্ত কলেজের শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাবা-মা’র অবর্তমানে শুধু শিরিনা ও তার ছোট ভাই মামুন বাড়ীতে অবস্থান করছিল। বিকেল অনুমান ৪টায় একজন যুবক তাদের বাড়ীর দরজা নক করলে শিরিন  দরজা খুলে দেয়। দরজা খোলার সাথে সাথে ওই যুবক ও তার সাথে আসা একদল সন্ত্রাসী শিরিনকে টেনে হেঁচরে বাড়ি থেকে বের করে এবং বাহিরে থেকে বাড়ীর প্রধান দরজার ছিটকানি লাগিয়ে দেয়। পরে ওই যুবক ও তার সহযোগি সন্ত্রাসীরা শিরিন এর মাথায় ও বুকে আঘাত করে অজ্ঞান করে। এর পর তার দু পায়ের রগ কেটে দিয়ে গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে শিরিনকে ফেলে রেখে মাইক্রোবাসযোগে পালিয়ে যায়। ঘটনার এক পর্যায়ে শিরিনের ছোট ভাই মামুন এর চিৎকারে পাড়ার লোকজন এসে ছিটকানি  খুলে দিয়ে আটক থাকা মামুন এবং অচেতন অবস্থায় শিরিনকে উদ্ধার করে। তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। মামলার তদন্তকারী অফিসার আদমদীঘি থানার ওসি (তদন্ত) মোতালেব হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে এ পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি বলে জানান।

বিশেষ প্রতিনিধি