নাশকতার আশঙ্কায় আশুলিয়ায় সব কারখানা বন্ধ

নাশকতার আশঙ্কায় আশুলিয়ায় সব কারখানা বন্ধ

সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বিশৃঙ্খলা ও নাশকতার আশঙ্কায় সাভারের সব পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আশুলিয়া শিল্প পুলিশের উপপরিচালক মোক্তার হোসেন জানান, বিশৃঙ্খলা ও নাশকতার আশঙ্কায় নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর, বেরন, ঘোষবাগ, বাইপাইল ও পলাশবাড়ী এলাকার সব কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে বারবার দুর্ঘটনা ঘটলেও যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে কারখানা মালিকরা শ্রমিকদের ‘হত্যা করছে’ এমন অভিযোগে ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়ক অবরোধ করে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার পোশাক শ্রমিক। দেশের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পোশাক কারখানার মধ্যে আশুলিয়াতেই রয়েছে সাড়ে ৩শ’র বেশি।
প্রসঙ্গত, ২৪ নভেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তুবা গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানা তাজরিন ফ্যাশনে স্মরণকালের ভয়াবহ অগি্নকান্ডে অন্তত ১১১ জন নিহত হন। অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর ১০টি ইউনিট প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওপর থেকে লাফ দিয়ে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন শ্রমিক বলেছেন, তাজরিন ফ্যাশনে আগুন লাগার সময় কলাপসিবল গেটে তালা থাকায় হতাহতের সংখ্যা এত বেড়েছে। আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পরিচালক আবদুর রউফ জানান, জামগড়া এলাকার বেশ কিছু কারখানার শ্রমিক ২৬ নভেম্বর (সোমবার) সকালে নিজেদের কারখানায় গিয়ে নিহত শ্রমিকদের জন্য শোক পালনের জন্য ছুটি চান। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি না হওয়ায় অগ্নিকান্ড ও হতাহতের জন্য গার্মেন্ট মালিকদের দায়ী করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। ফলে ওই এলাকার কয়েকটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর কয়েক হাজার শ্রমিক দল বেঁধে তাজরিন ফ্যাশনের পোড়া কারখানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা সেখানে অবস্থানরত পুলিশের ওপর ঢিল ছুড়তে শুরু করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় আশুলিয়ার সব কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয় বলে শিল্প পুলিশের আবদুর রউফ জানান। তাজরিন ফ্যাশন থেকে সরে গিয়ে কয়েক হাজার শ্রমিক জড়ো হন নরসিংহপুর-জামগড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে। তারা সেখানে বিক্ষোভ শুরু করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘণ্টা তিনেক বিক্ষোভের পর পুলিশ সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিলে বেলা ১টার দিকে আবার যান চলাচল শুরু হয় বলে শিল্প পুলিশের উপপরিচালক মোক্তার হোসেন জানান। তিনি বলেন, শ্রমিকরা যাতে ইপিজেড এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য বাইপাইলে পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। বিক্ষোভের সময় শ্রমিকরা কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর করেছে বলেও জানান তিনি।

বিশেষ প্রতিনিধি