বিজ্ঞানীদের গবেষনাঃ ন্যাড়া মাথার মানুষরা অধিক পৌরুষবান!

বিজ্ঞানীদের গবেষনাঃ ন্যাড়া মাথার মানুষরা অধিক পৌরুষবান!

এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ মাথা কামিয়ে ফেলার সময় যাঁরা শখের চুলগুলোকে নালার জলে ভেসে যেতে দেখে আতঙ্কিত হন, বিজ্ঞানীদের কথা শুনে তাঁরা নিশ্চিতভাবেই দ্বিগুণ উৎসাহে বাকি চুলও দ্রুত ফেলে দেবেন। কেননা গবেষণায় দেখা গেছে, চুল কামিয়ে ন্যাড়া মাথা হওয়া মানুষরা চুলওয়ালা মানুষের তুলনায় বেশি পৌরুষ শক্তিসম্পন্ন হয়ে থাকেন। সোশ্যাল সাইকোলজি অ্যান্ড পারসোনালিটি সায়েন্স জার্নালে আমেরিকার পেনসিলভিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ারটন স্কুলের অধ্যাপক আলবার্ট ম্যানিস তাঁর গবেষণালব্ধ ফলাফল তুলে ধরে জানিয়েছেন, চুল কামিয়ে চকচকে ন্যাড়া মাথার মানুষরা সচারচর ক্ষুরধার ও কঠিন স্বভাবের। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে তাদের প্রভাবশালী ও বেশি পৌরুষ বিরাজ করে। ঠিক যেমনটা দেখা যায় শক্তিমান নেতাদের মধ্যে। ম্যানিস তাঁর গবেষণাকালে তিন ধরনের পরীক্ষায় দেখেছেন, ন্যাড়া মাথার মানুষরা অনুভূতিগুলো প্রকাশে হন জেদি। চুল কামিয়ে ফেলা এবং মাথাভর্তি চুলওয়ালা লোকদের ছবি ও বর্ণনা দিয়ে তিনটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কাকে তাঁরা বেশি পুরুষালী, ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী বলে মনে করে। সব ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীরা ন্যাড়া মাথাদেরই বেশি পৌরুষবান মনে করেন। ঝাকড়া চুলেওয়ালা মানুষের চুল ডিজিটালি সরিয়ে ফেলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মৌখিক বর্ণনা ও লিখিতভাবে প্রশ্ন করেও দেখা গেছে, ন্যারা মাথাওয়ালাদের বেশি পৌরুষবান ও শক্তিশালী মনে করা হয়। শারীরিক বর্ণনা জানতে চাওয়া হলেও পরীক্ষার্থীরা ন্যাড়াদের লম্বা-চওড়া ও শক্তিবান বলে মত দিয়েছেন। অধ্যাপক আলবার্ট ম্যানিস বলেন, তাঁর ভাষায়, আমি আশ্চর্য হয়েছি, চুল কামিয়ে ফেলা মানুষদের প্রতি বেশি পৌরুষবান, আধিপত্য বিস্তারকারী মনোভাবের নিরেট অবস্থান দেখে। শারীরিক বর্ণনাতেও চুলওয়ালা মানুষদের চেয়ে ন্যাড়া মাথারা শক্তসামর্থ ও লম্বা-চওড়া বলে ধারণা করা হয়। মাথা কামিয়ে ন্যাড়া হওয়া ভয়ডরহীন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যেরই প্রকাশ। পাতলা চুলের সুদর্শন মানুষরা কম প্রভাব বিস্তারকারী বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক