মেডিক্যালের ভর্তি পদ্ধতি এবং কিছু কথা

মেডিক্যালের ভর্তি পদ্ধতি এবং কিছু কথা

মীর আব্দুল আলীমঃ

এখন থেকে আর ভর্তিপরীক্ষা নয় ; এসএসসি-এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ’র ভিত্তিতে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। হু্ট করে মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির এমন সিদ্ধামত্মই  নিয়ে ফেলেছে সরকার। এবার সরকারি ও বেসরকারি এমবিবিএস ও ডেন্টাল কোর্সেকোনো ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস শিÿার্থীদেও ভর্তি করা হবে। এসব কোর্সে বছরের পর বছর ধরে যে পদ্ধতিতে চলে আসছে সেই পদ্ধতি তড়িঘড়ি করে বাতিল করার কারণ খুঁজে পাচ্ছে না শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল। তারা এ পদ্ধতি বাতিলের দাবিরেত মাঠে নেমেছে। একই দেশে ভর্তির ÿÿত্রে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম হবে কে? প্রশ্ন আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারলে,স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কেন পারবে না ? এ ছাড়া জিপিএ’র ভিত্তিতে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে কীভাবে মেধাক্রম যাচাই করা হবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। এর ফলে দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর পথ তৈরি হবেকিনা তাও ভাববার বিষয়।এদিকে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর সুযোগ পেতে প্রায় এক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন । অনেকে কোচিং করেও হাজার হাজার টাকা ব্যয় করেছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার প্রস্ত্ততি নিচ্ছিলেন তারা। কিন্তু হঠাৎ করেই সরকারের এ সিদ্ধামেত্ম কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা মানসিকভাবে একেবাওে ভেঙে পড়েছেন। সরকারের এ সিদ্ধামেত্মর প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। স্বাস্থ প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে খবর প্রকাশিত হওয়ার দিনেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবক স্বতস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সরকারি এ সিদ্ধামেত্মর প্রতিবাদে হাইকোর্টে জনস্বার্থে এক আইনজীবী রিটও করেছেন। অনেক শিÿার্থী এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে একটি বক্তব্য বেশী শোনা যাচ্ছে বিষয়টি সম্পূর্ণ অনৈতিক। দেশে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যায় মোট আসনের চেয়ে বেশি। গত বছর চান্স না পাওয়ায় এবার বছরব্যাপী প্রস্ত্ততি নিয়েছিহাজার হাজার শিÿার্থী। পরীক্ষার মাত্র এক মাস আগে সরকারের এ সিদ্ধামত্ম নেয়ায় এখন তারা কোথায় যাব ? এদিকে ঐসব শিÿার্থীরা ভার্সিটিতে ভর্তির কোচিংও করিনি। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তিও প্রস্ত্ততি নেই তাদের। এক বছর আগে সিদ্ধামত্ম জানালে তারা ভার্সিটি ভর্তিও চেষ্টা করতে পারত। কিন্তু এখন তারা কি করব? জিপিএ’র ভিত্তিতে ভর্তি হলে দুর্নীতি হওয়ার আশংকা রয়েছে এমন অভিমত অভিভাবক এবং শিÿার্থীদের। এছাড়া এটা তো কোন ছেলেখেলা নয়, রীতিমত হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের জীবন মরণের ব্যাপার! এতদিন জিপিএ’র ভিত্তিতে ছিল ১০০ নাম্বার, আর ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নাম্বার, মোট ২০০ নাম্বারের ভিত্তিতে হতো ফাইনাল সিলেকশন। সুন্দর এই পদ্ধতি ছিল সর্বজনগৃহীত। নানান কারণে যারা বোর্ড পরীক্ষায় অপেক্ষাকৃত খারাপ ফলাফল করতো, তাদেরও সুযোগ থাকতো অনেক বেশি পরিশ্রমের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার! বর্তমান পদ্ধতিতে তার সুযোগ কোথায়? এর ফলে কেন বোর্ড পরীক্ষায় অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে থাকা একজন শিক্ষার্থী তার জীবন গড়ার, তার স্বপ্ন পূরণের, অমত্মত চেষ্টা করার একটা সুযোগও পাবে না?

পরীক্ষা ছাড়াই ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির সরকারি সিদ্ধামেত্ম সত্যিকার অর্থে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ভর্তিচ্ছুরা। বিশেষ করে যারা অন্যান্য ভার্সিটিতে পরীক্ষা না দিয়ে শুধুমাত্র মেডিকেলে ভর্তির চেষ্টা করছেন এবং যারা দ্বিতীয়বারের মতো ভর্তির চেষ্টা করছেন তারা একেবারে মুষড়ে পড়েছেন। পরীক্ষা শুরম্ন হওয়ার মাত্র এক মাস আগে সরকারের এ সিদ্ধামেত্ম হতবাক তারা। এ সিদ্ধামেত্মর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভও করেছেন তারা। অবিলম্বে এ সিদ্ধামত্ম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা। শিÿার্থীরা বলছে- এসএসসি বা এইচএসসির ফলাফল কিছুটা খারাপ হলেও অনেকেই পরে ভর্তি পরীÿায় ভালো করে। জিপিএ’র ভিত্তিতে এতো লাখ লাখ শিÿার্থী থেকে কীভাবে মেধাক্রম যাচাই করবে তারও সংশয় রয়েছে। এছাড়াও হুট্ করে এ ধরনের সিদ্ধামত্ম তাদের গত ৪ মাসের শ্রমকে বৃথা করে দিয়েছে বলে ÿÿাভ প্রকাশ করেন তারা। জিপিএ’র ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়াটি একটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া হবে এবং এর মাধ্যমে দুর্নীতির মাধ্যমে শিÿার্থী ভর্তি করানোর পথ তৈরি হবে বলে মত দেন অনেকে। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথা এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় যারা ভালো করেছে তাদের আর নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার দরকার নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই অবস্থানের পক্ষে একমত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও। এতে নাকি কোচিং-বাণিজ্যের রাশ টেনে ধরা সম্ভব হবে। সম্প্রতি হাইকোর্টেও রায়ের পর কোচিং সেন্টার গুলোর আর আইনগত বৈধতা নেই। প্রশ্ন হলো কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে না পারারর ব্যর্থতা শিÿার্থীদের উপরই কি বর্তালো ? শিÿার্থীরা কেন এর দায় নেবে ? এটা খুনের দায়ে চাকু প্রস্ত্ততকারী কামারকে সুঁলে চড়ানোর মতই বিষয় নয় কি।? প্রশ্ন উঠেছে যে, কোচিং-ব্যবসা বন্ধ করতে পারছে না বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধামত্ম নিয়েছে। এই কথা বলার মধ্যে সরকার ব্যর্থতার প্রমাণ দিচ্ছে, এটাও অনেকে বলেছেন। যুক্তি হচ্ছে যে, মাথাব্যথার জন্য কি মাথা কেটে ফেলতে হবে? একেবারে শেষ সময়ে এসে কেন এই পদ্ধতিতে ভর্তি করা হবে? নীতিনির্ধারকরা হয়তো বলবেন, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নীতিগতভাবে সেটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু যে ভর্তি পদ্ধতির নীতিমালা এখনো তৈরি করা হয়নি, সে পদ্ধতির কতটা সঠিক ও স্বচ্ছ, সে বিষয়ে নীতিনির্ধারকরা আগে থেকেই নিঃসন্দেহ হলেন কেমন করে? তাঁরা বলছেন, মেধা আর স্বচ্ছতার মাধ্যমে এখন থেকে মেডিক্যালে ভর্তি করা হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, মেডিক্যালে ভর্তি হতে চাওয়া শিক্ষার্থীরা তো যোগ্যতার ভিত্তিতেই আবেদন করে। তাহলে যাদের বাদ দেওয়া হবে, তাদের কোন অযোগ্যতার ভিত্তিতে বাদ দেওয়া হবে? বিষয়টি মেনে নেওয়া যেত, যদি পক্ষপাতিত্বের প্রশ্নটি বড় হয়ে সামনে না আসত। আগে মেডিক্যালে ভর্তির সময় দলীয়করণের কোনো প্রচলন ছিল না। কিন্তু গত দু-তিনটি সরকারের সময়ে দলীয়করণের ব্যাপক প্রভাব ছিল বলে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে উলেস্ন­খ করা হয়েছে। এখন পরীক্ষা পদ্ধতি বাদ দিয়ে কেবল মেধার ভিত্তিতে ভর্তির বিষয়টি কতটা দলীয়করণমুক্ত থাকবে, সেটা নিয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদিকে ভর্তি পদ্ধতির স্বচ্ছতা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের মতো করে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু সেটা সাধারণ্যে কতটা গ্রহণযোগ্য, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট অবকাশ আছে। সরকারি কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে আসন সংখ্যা দুই হাজার ৮১২টি এবং বিডিএস কোর্সে ৫৭৮টি। বেসরকারি কলেজগুলোতে এই সংখ্যা যথাক্রমে চার হাজার ২৭৫টি ও ৮৫০টি। অর্থাৎ ২২টি সরকারি মেডিকেল কলেজ, ৫৩টি বেসরকারি মেডিকেল এবং ৯টি ‘পাবলিক’ ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে মোট ৮ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে। ২০১২ সালের এইচএসসির ফলাফল থেকে দেখা যায়, আটটি সাধারণ বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩১ হাজার ছাত্রছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। জিপিএ-৪ থেকে তার ওপরে জিপিএ পেয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার। এছাড়া গত বছর যারা মেডিকেলে ভর্তি হতে পারেননি তাদের বিরাট সংখ্যক শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষা দেয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। অর্থাৎ মাত্র সাড়ে ৮ হাজার আসনের বিপরীতে এবার প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি হলে জিপিএ-৫ পাওয়াদের মধ্যেই অর্ধ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে না। সেখানে জিপিএ-৪ পাওয়াদের সুযোগের চিমত্ম অবামত্মর। জেলা ভিত্তিক যে কোটা রয়েছে তাতেও সুযোগ না পাওয়ার আশঙ্কায় বেশি। মোট মিলে প্রায় পৌনে এক লাখ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে না। পরীক্ষা না নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করানো যথাযথ হবে কি না, সে বিষয়ে অনেকেরই সংশয় আছে। এই সংশয়বাদীদের ভাষ্য হচ্ছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধাবীরা ভালো করেছে। কিন্তু তারা মেডিক্যালে পড়ার উপযুক্ত কি না, তা দেখার সুযোগ রইল না। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, বিষয়টি নতুন কিছু নয়। তিনি বলতে চেয়েছেন, আগেও মেধার ভিত্তিতেই ভর্তি করা হতো। আগে যে পদ্ধতিতে ভর্তি করা হতো, তাতে মোট ১০০ নম্বরের স্কোর ধরা হতো। এর মধ্যে ৫০ নম্বর থাকত এসএসসি ও এইচএসসির প্রাপ্ত মেধার ভিত্তিতে। বাকি ৫০ থাকত পরীক্ষা প্রক্রিয়ার অন্যান্য বিষয়ের ওপর। এখন ওই ৫০ বাদ দিয়ে মেধার ৫০ নম্বরকেই শতভাগ স্কোর ধরা হবে বলে নীতিনির্ধারকরা জানাচ্ছেন। তাঁরা এটাও বলেছেন, এ জন্য আরো নিপুণভাবে নীতিমালা তৈরি করা হবে। তাই কোনো ধরনের সংশয় বা বিভ্রামিত্মর সুযোগ নেই।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে জাতীয়ভাবে ভর্তির সিদ্ধামত্ম নেওয়া সরকারের দৃষ্টিতে এটি ভালো সিদ্ধামত্ম মনে হলেও অনেক গুরম্নত্বপূর্ণ দিক বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থার মূল দুর্বলতাগুলো বিবেচনায় না নিয়ে এরূপ সিদ্ধামত্ম হিতে বিপরীত হতে পারে। শিক্ষার মূল বিষয় জ্ঞানার্জন, শিক্ষণ প্রক্রিয়া ও অর্জিত জ্ঞানের বিজ্ঞান ভিত্তিক মূল্যায়ন এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটাও বলতে হয় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মূল লক্ষ্য জ্ঞান অর্জন নয়, লক্ষ্য হচ্ছে গ্রেড অর্জন। গ্রেড অর্জন করার জন্য যত কলাকৌশল শেখা প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের তাই শেখানো হয়। স্কুল-কলেজে টেক্সট বই না পড়িয়ে কোচিং সেন্টার বা প্রাইভেট কোচিংয়ে শিক্ষার্থীদের গ্রেড অর্জনের শিক্ষা দেওয়া হয়। শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয় হল অর্জিত জ্ঞানের বিজ্ঞান ভিত্তিক মূল্যায়ন বা পরিমাপন। এই মূল্যায়ন বা পরিমাপনকে অবশ্যই আদর্শায়িত হতে হবে। এ ÿÿত্রে পরীÿা গ্রহনের বিকল্প নেই। এ প্রেক্ষাপটে কোনোরূপ গবেষণা না করে শুধুমাত্র ফলাফলের ভিত্তিতে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি বিপরীত ফলাফল নিয়ে আসবে এবং জ্ঞান অর্জনের পরিবর্তে গ্রেড অর্জনের প্রতিযোগিতাকে আরও তীব্র করবে। এ ক্ষেত্রে বলা যায় শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মেডিক্যাল কলেজসহ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সিদ্ধামত্ম আত্মঘাতী । এ সিদ্ধামেত্ম অনড় না থেকে বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আরও ভাবতে হবে।

 (লেখক- সাংবাদিক , কলামিষ্ট ও নিউজ বাংলাদেশ ডটকমের সম্পাদক,newsstore09@gmail.com)

অতিথি লেখক