ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির প্রশিক্ষন ভাতা নিয়ে দুর্নীতি

ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির প্রশিক্ষন ভাতা নিয়ে দুর্নীতি

জাফরুল হাসান রুহান, বরগুনা প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বরগুনায় চলমান ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূতি থেকে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একাই প্রশিক্ষনভাতা হিসেবে তুলেছেন সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা। ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে এ প্রশিক্ষন ভাতা তুলেছেন বলে উপজেলার অন্যান্য প্রশিক্ষকগণ অভিযোগ করেছেন।

বৃহষ্পতিবার পাথরঘাটা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচিতে অংশগ্রহনকারী প্রশিক্ষনার্থিদের ২০১০ সালের ১৬ মে থেকে ২০১১ সালের ২৮ মে পর্যন্ত তিনটি ধাপে তিনমাস করে এ  প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এতে ওই উপজেলা থেকে মোট ৫১ জন প্রশিক্ষক অংশ নেন। কর্মসূচির বাজেটে প্রতিটি প্রশিক্ষন ক্লাসের জন্য পাঁচ’শ টাকা ভাতা নির্ধারণ করা হয়। এ হিসেবে ৫৫ জন প্রশিক্ষক ২৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকামোট  ভাতা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসের একাই সাত’শ ৩৬টি প্রশিক্ষন ক্লাসে অংশ নিয়ে ৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা প্রশিক্ষন ভাতা তুলেছেন। বাকী প্রশিক্ষকগনের মধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্তকর্তা ভাতা গ্রহণ করেছে ২৬ হাজার টাকা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা গ্রহণ করেছে ১৩ হাজার টাকা, পাথরঘাটা মহিলা কলেজ’র অধ্যক্ষ গ্রহণ করেছে ৮ হাজার টাকা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ৫ হাজার টাকা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ৪ হাজার টাকা ভাতা গ্রহণ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রশিক্ষনে অংশ নিয়েছেন। এতে প্রশিক্ষনচলাকালীন দাপ্তরিক কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দেয়। পাথরঘাটা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ন্যাশণাল সার্ভিস কর্মসূচির সভাপতি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন। অর্থের লোভে তিনি দাপ্তরিক কাযকর্ম ফেলে রেখে প্রশিক্ষনে অংশ নিয়েছেন।

পাথরঘাটা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা যাদব চন্দ্র রায় বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমিটির সভাপতি হিসেবে তিনি ক্লাস বন্টনের দায়িত্বে ছিলেন। ফলে নিজের মতো করে তিনি ক্লাস নিতেন। এ ব্যাপারে আমরা একপ্রকার অসহায় হয়ে পরেছিলাম।

যোগাযোগ করা হলে বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোহরাব হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমি প্রশিক্ষনভাতা হিসেবে আমি নিয়ম মোতাবেক টাকা নিয়েছি। এতে আমার দাপ্তরিক কাজের কোন সমস্যা হয়নি। আপনারা লিখে দেন। যা হবার আমি বুঝবো। পরে তিনি আক্রমনাত্মক ভাষা ব্যবহার করে ফোনটি কেটে দেন।

ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচীর উপদেষ্টা ও বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলু বলেন, একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নানা রকমের দাপ্তরিক কাজকর্ম থাকে। তিনি কিভাবে এতগুলো ক্লাস নিয়েছেন আমার জানা নেই। সভাপতি হিসেবে তার উচিৎ ছিল অন্যান্য কর্মকর্তাদের বেশী সুযোগ দেয়া।

এসবিডি নিউজ ডেস্ক