ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর

ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পটপরিবর্তন ঘটে। সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের ঘটনা ৩ নভেম্বর শুরু হয়। কারাগারে বন্দী অবস্থায় নিহত হন জাতীয় চার নেতা। এসব ঘটনার একপর্যায়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দী হন। পালাবদলের ধারাবাহিকতায় ৭ নভেম্বর অপর এক অভ্যুত্থানে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। নিহত হন ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, কর্নেল এ টি এম হায়দারসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা।

দিনটি বিভিন্ন সরকারের আমলে ভিন্ন ভিন্নভাবে পালন করা হয়। ১৯৭৬ সাল থেকে দিনটি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে পালন করা হতো। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার এ দিনের সরকারি ছুটি বাতিল করে। ২০০১ সালের নির্বাচনে জিতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আবার তা বহাল করে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ দিনে সরকারি ছুটি আবার বাতিল ঘোষণা করে, যা এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছে।

৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে বিএনপি। দিবসের সঙ্গে ওতপ্রোত জড়িয়ে থাকা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) দিনটিকে পালন করে সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে। এছাড়া আওয়ামী লীগসহ বেশ কিছু দল ও সংগঠন নভেম্বরের ৭ তারিখকে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। দিনটি পালনের জন্য বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। জাসদের পক্ষ থেকেও দিনটি উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করা হবে।

দিনটি উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বাণী দিয়েছেন। বাণীতে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই দুঃশাসনের অবসান হওয়া জরুরি। জনগণ যদি অবাধে ভোট দেয়ার অধিকারটুকু ফিরে পায়, তাহলেই তারা স্বৈরাচারী শাসনের বিপক্ষে তাদের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে। তিনি ৭ নভেম্বরের চেতনায় সব জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। দিবসটি উপলক্ষে তিনি দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

নিজস্ব প্রতিনিধি