শিক্ষা অধিকার আন্দোলনের গোলটেবিল বৈঠকঃ দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য বিরাজ করছে

শিক্ষা অধিকার আন্দোলনের গোলটেবিল বৈঠকঃ দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য বিরাজ করছে

নিজস্ব প্রতিণিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন ,বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে জিডিপি থেকে ৫-৬শতাংশ ব্যয় করা প্রয়োজন। যতদিন এ পরিমাণ ব্যয় করা যাবে ততদিন শিক্ষা ব্যবস্থার কোন পরিবর্তন হবে না। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় একমাত্র বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে জিডিপি থেকে সবচেয়ে কম ব্যয় করা হয়। যার পরিমান দুই দশমিক আঠারো শতাংশ। অত্যন্ত দুঃখজনক নেপাল-ভুটানের মত অনেক ছোট দেশ বাংলাদেশের চেয়ে জিডিপির অনেক বেশি ব্যয় করেন শিক্ষাক্ষেত্রে। এজন্যই আমাদের দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য বিরাজ করছে।

২২ আগস্ট (শুক্রবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শিক্ষা অধিকার আন্দোলন আয়োজিত শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য: বাংলাদেশের ভবিষ্যত শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমেদ এসব মন্তব্য করেন। শিক্ষা অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক ড. মুহাম্মদ আবু ইউসুফের সভাপতিত্তে বৈঠকে আরও আলোচনা করেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড.আব্দুল লতিফ মাসুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. মামুন আহমেদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব  ড.মুহাম্মদ আমানউদ্দীন মুজাহিদ।

এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গড়তে হলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। বাংলা-ইংরেজী ও মাদ্রাসা শিক্ষাকে এক করতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থাকে দলীয়করণ মুক্ত করতে হবে। কারণ এটি অমার্জনীয় অপরাধ। বর্তমানে শুধু প্রশ্নপত্র ফাস নয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি বাণিজ্যও চলছে। তিনি আরো বলেন ,যতদিন যোগ্য, দক্ষ ও সৃজনশীল শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করানো সম্ভব হবে না। ততদিন প্রগতিশীল উন্নত জাতি গঠন করা যাবে না। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার মুল্যায়ন করা হয় না। আপনি কোন দল করেন, সেটাই বেশি গুরুত্ব পায়। যে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কলাম লিখে, সরকারের তাবেদারী করে, যৌন হয়রানী করে, প্রশ্নপত্র ফাস করে সেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দাড়াবে কি করে। যতদিন এই শিক্ষকরা শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে থাকবে ততদিন শিক্ষাক্ষেত্রের নৈরাজ্য দুর হবে না। শিক্ষকদের নৈতিকতার চর্চা যতদুর সম্ভব করতে হবে। দেশের ভবিষ্যত নিম্যাণে শিক্ষক-ছাত্র নয়, সকল মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

নিজস্ব প্রতিনিধি