৭ মেঃ শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টারের ১০ম শাহাদাৎ বার্ষিকী

৭ মেঃ শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টারের ১০ম শাহাদাৎ বার্ষিকী

এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা, শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার ( সাবেক এমপি) ১০ম শাহাদাৎ বার্ষিকী ৭ মে (বুধবার)। এ উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর টঙ্গী ও গাজীপুরে ব্যাপক কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে সকালে পূবাইল ইউনিয়নের হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টারের কবরে পুস্প অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন। পবিত্র কোরআন খানি,  শোক পতাকা, দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, গনভোজ বিতরণ, ব্যানার, ফেষ্টুন, স্মরণ সভা, স্মরণিকা প্রকাশ ও নিহত রতন, হানিফ, মনির ও আফাজের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিকালে টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভায় আয়োজন করেছে টঙ্গী থানা আওয়ামীলীগ।

আহসান উল্লাহ মাষ্টার গাজীপুর – ২ (গাজীপুর সদর – টঙ্গী ) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাষ্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে ব্রাশ ফায়ার (গুলি) করে তাকে হত্যা করে। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এ হত্যা মামলার রায় হয়। রায়ে প্রধান আসামী বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে ফাঁসি ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন দন্ড প্রদান করে বিঙ্গ আদালত। সেই সাথে ওই মামলায় ২৮জনের মধ্যে ২জন খালাস দেয় আদালত। এর মধ্যে প্রধান আসামীসহ ১৭ জন দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী রয়েছে। বাকী ১১ জন আসামী ভারত, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা, দুবাই সহ বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে । তার মধ্যেজাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম দিপু, অহেদুল ইসলাম টিপু, আনোয়ার হোসেন আনু, খোকন, ফয়সাল, জাহাঙ্গীর, বুলু, মিরপুরের মশিউর রহমান সহ অনেকে বিদেশের মাটিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। যুবদল কেন্দ্রীয কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সরকার, ছাত্র সমাজের নেতা শহিদুল ইসলাম শিপু সহ ১৭ আসামী ঢাকা, গাজীপুরের কাসিমপুর কারাগারে আছেন। মহামান্য হাইকোর্টে বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিনের আদালতে এই হত্যা মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন আছে। ট্রাইব্যুনাল মামলা নম্বর (৩১)৫। টঙ্গী থানার দ্রুত বিচার আইনে মামলা নম্বর ৭ (৫) ২০০৪। শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার ( সাবেক এমপি) ছোট ভাই বর্তমানে গাজীপুর জেলা স্বেচছাসেবক লীগের আহবায়ক মতিউর রহমান মতি এই হত্যা মামলার বাদী। হত্যা মামলার বাদী মতিউর রহমান মতি জানান, মহামান্য হাইকোর্টে বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিনের আদালতে এই হত্যা মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন আছে। গাজীপুরের কাসিমপুর কারাগারে আসামিরা মামলার হাজিরা দিতে এসে এখানে থেকে যাচেছ বলে তিনি অভিযোগ করেন। মতিউর রহমান আরো বলেন, ফার্সির আসামী নুরুল ইসলাম সরকার সহ অন্যান্য আসামীরা কারাগার থেকে ২/৩টি মোবাইল সিমের মাধ্যমে খুনিরা তাদের আত্মীয় স্বজন ও অন্যান্য লোকজদের সাথে রাত দিন কৌশলে কথা বলছেন। তা না হলে যে কোন সময় মামলার ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার বাদী আরো বলেন, আসামীদেরকে গাজীপুর কারাগার থেকে দেশের অন্যকারাগারে অচিরেই স্থানান্তর করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টাারের বড় ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল এমপি গ্রামের বাড়ি হায়দরাবাদসহ টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীসহ সকল স্তরের মানুষকে তার পিতার ১০ম শাহাদ বার্ষিকীর কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করার জন্য সকলের প্রতি জোর অনুরোধ জানিয়েছেন।

এসবিডি নিউজ ডেস্ক