নতুন ট্যাক্সি ক্যাব সার্ভিস উদ্বোধনঃ প্রথম দুই কিলোমিটারের ভাড়া ৮৫ টাকা নির্ধারণ

নতুন ট্যাক্সি ক্যাব সার্ভিস উদ্বোধনঃ প্রথম দুই কিলোমিটারের ভাড়া ৮৫ টাকা নির্ধারণ

শহিদুল ইসলাম,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে নতুন ট্যাক্সি ক্যাব সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে রাজধানীবাসীর দীর্ঘ দিনের একটি প্রত্যাশা পূরণ হলো। প্রধানমন্ত্রী ২২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি গলফ কাবে আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের আওতায় ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস-এর এই ট্যাক্সি ক্যাব প্রকল্পের উদ্বোধনকালে প্রথম দুই কিলোমিটারের ভাড়া ১০০ টাকার পরিবর্তে ৮৫ টাকা নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ভাড়া কমানো কথা শুনলে জনগণ এই ট্যাক্সিক্যাব ব্যবহার শুরু করবে। অপরদিকে ভাড়া ১০/১৫ টাকা কমানো হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর লোকসান হবে না। ‘প্রথম দুই কিলোমিটারের ভাড়া ৮৫ টাকা নির্ধারণ, সবার জন্য সুবিধাজনক হবে’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরামদায়ক ও নিরাপদ ট্যাক্সি সার্ভিস চালুর এই উদ্যোগ গ্রহণ করায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেনা বাহিনী প্রধান এবং আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া এবং ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস-এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এ কে এম মুজাহিদ উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এসময়ে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট দুস্থ সেনাসদস্যদের কর্মসংস্থান ও জনগণের সার্বিক কল্যাণের ব্রত নিয়েই বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মত মুনাফা অর্জনই এর মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। বরং সামাজিক দায়বদ্ধতাকে কেন্দ্র করেই তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তাদের পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রম ইতোমধ্যেই সবার প্রশংসা অর্জন করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর সকল উন্নত দেশে ট্যাক্সি ক্যাব একটি প্রয়োজনীয় সার্ভিস। মহানগরের অভ্যন্তরে নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য বিশেষ করে বিদেশী পর্যটকরা ট্যাক্সি ক্যাবের উপরেই নির্ভর করেন। ঢাকা মহানগরে এই সার্ভিস ছিল অপ্রতুল। এতে একদিকে জনসাধারণ যেমন এই অপরিহার্য সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন, অন্যদিকে বাংলাদেশে ভ্রমণকারী বিদেশী নাগরিক ও পর্যটকদের আকর্ষণ করা সম্ভব হচ্ছিল না।

নিজস্ব প্রতিনিধি