সহিংসতা আরো বাড়লে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারেঃ ওবায়দুল কাদের

সহিংসতা আরো বাড়লে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারেঃ ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ২ ডিসেম্বর (সোমবার) বিকালে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মূহুর্তে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চলমান সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশ-র‌্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি অন্যকোনো ফোর্স (সেনাবাহিনী) মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। তাছাড়া রাজনৈতিক সহিংসতা রাজনৈতিকভাবেই দমন করা হবে। তবে এ ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা আরো বাড়লে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে। আর জরুরি অবস্থা জারি হলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। সেক্ষেত্রে আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যেই সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে তিনি জানান। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তাদের সঙ্গে সমঝোতার সময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি। যে কোনো সময় সমঝোতা হতে পারে। এজন্য বিরোধী দলের অনেক সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ রয়েছে। নৈপথ্যে আলোচনা চলছে। সমঝোতা হলে নির্বাচনের তফসিল পুনরায় ঘোষণা হতে পারে। যোগাযোগমন্ত্রী আরো বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি তৎপরতায় বিরোধী দলের সঙ্গে সাময়িক সমঝোতা হলেও সহিংসতার মাত্রা কমবে না। কারণ বিরোধী দলের হাতে আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ নেই। তাদের আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ করছে উগ্রবাদীরা। এটা রাজনীতির জন্য অশুভ সংকেত। তিনি বলেন, বিরোধী দলের আন্দোলনের লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না। তাদের দাবিও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা নেই। বিরোধী দলের নেতারা আন্দোলন কর্মসূচি আহ্বান করে মাঠে নামছেন না। কর্মীরা মাঠে থাকলেও নেতারা নৈপথ্যে পালিয়ে থাকছেন। তাই জনসম্পৃক্ততা ছাড়া আন্দোলন কখনোই সফল হবে না। মন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল আন্দোলনের নামে রেলপথ ধরে নাশকতা চালাচ্ছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত করছে, পরিবহনের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করছে। তারা পেট্টল মেরে মানুষ মারছে, বাসে আগুন দিয়ে গণতন্ত্রকে অগ্নিদগ্ধ করছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষই আজ তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎও তারা নষ্ট করে দিচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে যত সহিংসতা হচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে- যারা বাংলাদেশের অগ্রগতিকে হিস্যা করে, সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে সেইসব দেশি-বিদেশি মতলববাজদের প্লে-গ্রাউন্ড হচ্ছে। তিনি বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা সমঝোতা করি, যাতে আমাদের সম্ভাবনাময় দেশটিকে অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে পারি। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে পারি। বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য বিরোধী দলকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ছাড়া নির্বাচন আমাকে ব্যথিত করবে। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে বিএনপি ছাড়া নির্বাচনে উৎফুল্লতা ও স্বাচ্ছন্দ্যতাবোধ করব না।

নিজস্ব প্রতিনিধি