বি এন পি-জামাত আসলে কোন নির্বাচনই চায় না

বি এন পি-জামাত আসলে কোন নির্বাচনই চায় না
মুনীব রেজওয়ান:
উদ্দেশ্যটা আসলে কী? তুমুল সন্দেহ জেগে গেলো যে মীর্জা ফখরুল সাহেব ! আপনাদের একেক দিনের একেক কথায় পাবলিকের কেবল ধান্দা লেগে যাচ্ছে। বড় বড় খোকাদের মতো কথা বলছেন জামাতি কায়দায়। লক্ষ্য যদি হয় সুষ্ঠু এবং গ্রহনযোগ্য নির্বাচন তাহলে তো কোন গণতন্ত্রে নির্বাচিত সংসদের মতের বাইরে কোন একটা পদ্ধতি নিয়ে ‘গো’ ধরে বসে থাকার সুযোগ নেই। বরং সবাই মিলে বসে একটা উপায় বের করাই আসল কম্ম হবে যেখানে বা যে পদ্ধতিতে গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ, সুন্দর এবং আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত হয়–তাই না? তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির বারোটা তো আপনারাই বাজিয়ে দিয়েছেন। এবার একটু উঁকি ঝুঁকি দেয়া যাক–আপনাদের মনের ভিতরে আপনারা সংলাপের জন্য লোক দেখানো আল্টিমেটাম, হরতাল পর্যন্ত দিলেন, উদ্যোগ নিলেও যোগ দিলেন না আলোচনায় বরং মারপিট করে আতঙ্ক তৈরী করলেন সন্ত্রাসীদের মতো, প্রাণ নিলেন কতো । তারপর বললেন তালগাছ আপনার এটা মানলে আলোচনায় বসবেন, অর্থ্যাৎ তত্ত্বাবধায়ক মানলেই আলোচনায় যাবেন যার কোন দরকারই নেই–তাছাড়া আপনারাও খুব ভাল করে জানেন তত্ত্বাবধায়ক এই সরকারের কেউ মানবেনা কারণ সরকারটিতো আর বানের জলে ভেসে আসে নাই–যদিও এর বাইরেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার অনেক পথ আছে, আলোচনা করলেই বের হতে পারতো অনেক পথ–আপনারা সেদিকে হাঁটলেন না। এবার এসে মনে গোপনে লালিত কথাটি বলে দিলেন —আপনারা সর্বদলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনে যাবেন না। এখন কিন্তু আপনাদের হৃদয়ের গভীরতম স্থানের লুক্কায়িত খায়েশখানি আমরা দেখে ফেললাম। আসলে আপনারা নির্বাচনই চান না। কেন চান না? সেই সহজ পাটিগণিতেরও যোগফল মিলে গেছে। ধরুণ যদি নির্বাচন হয় আওয়ামীলীগ অথবা বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। জামাত নির্বাচনের বাইরে। এখন যে সরকার গঠিত হবে সেই সরকারের পক্ষে যুদ্ধাপরাধীদের বের করে আনা —তুমুল জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে, একটু কঠিনই মানে প্রায় অসম্ভব কাজ হবে। তাই আপনারা বা জামাত কখনোই নির্বাচিত কোন সরকার এই মুহূর্তে চাইছেন না। তাহলে কী চাইছেন? আপনারা চাইছেন একটি অচল অবস্থা তৈরী করে অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় নিয়ে আসা যাতে করে সহজ হয় প্রয়োজনে সংবিধান স্থগিত করে যুদ্ধাপরাধীদের বের করে আনা। কে জানে ! হয়তো সামরিক বাহিনীতে আপনারা আবারো সেই শক্তি সাজিয়ে রেখেছেন। এখন আরেকটি কথা উল্লেখযোগ্য—আপনাদের চামচা প্রথম আলোর জরিপ অনুযায়ী দেশের ৯০ ভাগ লোক যদি আপনাদের তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে কিম্বা ১৮ দলের পক্ষে ৫৫ ভাগ মানুষ ভোট দেবার মনস্থির করেই থাকে তাহলে আর হুমকি দিচ্ছেন কেন নির্বাচন বন্ধ করার? সরকারকে নির্বাচন করতে দিন—৫০ ভাগের নিচে ভোটার উপস্থিত হলেই তো আর নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। না কী নিজেদেরও সংশয় রয়েছে এইসব ভূয়া জরিপ নিয়ে? আরেকটা কথা—স্থানীয় নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচনে কিন্তু একভাবে ভোট দেয় না পাবলিক। স্থানিয় নির্বাচনে প্রতিক থাকে না দলের—তো ! জামাতি তুঘলকিতে না গিয়ে বলব এবার বুদ্ধিমান হোন, ঠিক কাজটি করুণ। ক্ষমতায় বা বিরোধী দলে গিয়ে রাজার মতো সুখে থাকুন।

অতিথি লেখক