সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় এক পত্রিকার সম্পাদকের শাস্তি দাবী

সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় এক পত্রিকার সম্পাদকের শাস্তি দাবী

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর ও চাকদহ গ্রামে সহিংস ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দৃষ্টিপাত সম্পাদক ও সংবাদদাতার গ্রেপ্তারসহ ৮ দফা দাবী জানিয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। ৮ এপ্রিল (রোববার) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সাথে স্থানীয় জামায়াতের নেতা-কর্মীদের প্রত্যক্ষভাবে জড়ীত থাকার অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, এ ঘটনায় মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় স্থানীয় দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল ও সম্পদককে গ্রেফতার, ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্ণবাসন, ভাংচুর লুটপাট অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, নাটকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তিসহ ৮দফা দাবী জাননো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা সম্পাদক অ্যাভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ,জেলা বাসদের জেলা সমন্বয়ক নিত্যানন্দ সরকার বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পাটি -সিপিবি জেলা সম্পাদক আবুল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জাসদের জেলা সভাপতি কাজী রিয়াজ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল -বাসদের আবুল কালাম আজাদ ও ন্যাশনাল আওয়ামী পাটি -ন্যাপের জেলা সম্পাদক কাজী সাঈদুর রহমান সহ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সাতক্ষীরার নেতৃবৃন্দ এবং একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়,সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নতজানু ভূমিকার কারনে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন কঠোর হলে এ ধরনের বর্বরোচিত ঘটনা ঘটতো না। তারা বলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর হাইস্কুল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত ২৭ মার্চ যে নাটক মঞ্চস্থ করেছিল তাতে হুজুর (সা:) সম্পর্কে কটুক্তি করা হয়েছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ ধরনের কোন তথ্যের সত্যতা তারা পায়নি। অথচ স্থানীয় দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে উস্কে দিয়েছে। তারা দৈনিক দৃষ্টিপাতের ডিক্লারেশন বাতিল এবং পত্রিকার সম্পাদক জিএম নূর ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট সংবাদদাতা মিজানুর রহমাকে গ্রেফতারের দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো অভিযোগ করেন- ঘটনার একদিন পর সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির, বর্তমানে জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক ফতেপুর এলাকায় গিয়ে কয়েকটি বৈঠক করেছেন। জামায়াতের লোকজনকে তিনি সংগঠিত করেছেন বলে সুম্পষ্ট অভিযোগ থাকলেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অবিলম্বে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেককে গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।

এদিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের ফতেপুর ও চাকদাহতে সংগঠিত সহিংস ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আরও ৭ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এনিয়ে এ মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কালিগঞ্জের ছনকা গ্রামের তকবীর আলম, গণপতির শেখ খলিলুর রহমান, শীতলপুরের শহিদুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমান, বিষ্ণুপুরের আব্দুল মালেক, একই গ্রামের ওমর ফারুক ও আবদুল জলিল । শনিবার রাতে ও রোববার দিনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, কালিগঞ্জের ফতেপুর ও চাকদাহ’র ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

নিজস্ব প্রতিনিধি