ধর্ষণ ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

ধর্ষণ ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

জেসিকা ইরফান: গতকাল যে গারো মেয়েটা গ্যাং রেইপ বা গন ধর্ষণের স্বীকার হল আমি প্রথম খবরটা পড়ি মানশ’ দার ওয়ালে ।
( গারো মেয়ে পড়ার সাথে সাথে আমার মনে হল এ তো সেই মেয়ে যে আপনাকে আমাকে বিউটি পার্লারে সাজিয়ে দেয় আপনাকে আমাকে আমাদের মনের মতো করে । আমরা কুরুপা থেকে সু রুপা হওয়ার জন্য তো তাদেরই দারস্ত হতে হয় । )

কি সুন্দর একটা নাম দিয়েছেন ‘দলবেঁধে ধর্ষণ ‘ অনেকটা পিকনিক পিকনিক ব্যাপার !

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর ভাষ্য অনুযায়ী :

” মেয়েটির বড় বোন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার জন্য যমুনা ফিউচার পার্কের উল্টো দিকে বাসের অপেক্ষা করছিলেন তার ছোট বোন।

“এ সময় হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস এসে ওর সামনে থামে এবং দুই যুবক ওকে জোর করে গাড়িতে তোলে। ভেতরে আরও তিনজন ছিল। তারা পাঁচজন মিলে চলন্ত গাড়িতে ওকে ধর্ষণ করে রাত পৌনে ১১টার দিকে উত্তরার জসিমউদ্দীন রোডে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।”

বড় বোন জানান, মাইক্রোবাসটি চালানো হচ্ছিল ধীর গতিতে। কুড়িল বিশ্বরোড ও যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের এলাকা দিয়েই গাড়িটি কয়েকবার ঘুরেছে।

“তখনও ওরা গাড়ির ভেতরে আমার বোনকে ধর্ষণ করছিল।”

এখন আমার কথা হল যমুনা ফিউচার পার্কের উল্টো দিক কোন থানার জুরিকডেকসনে পরে আমি জানি না ।

ভিকটিম ও তার পরিবার মামলা করার জন্য প্রথমে গিয়েছিল তুরাগ থানায় । তুরাগ থানা তার জুরিকডেকসন না থাকায় তাদের ফিরিয়ে দেয় ।
বেশ ভালো কথা তারা নিয়ম মেনেছেন । কিন্তু তাদের কি উচিৎ ছিল না ভিকটিম ও তার পরিবারকে বুঝিয়ে বলা বা সাহায্য করা জুরিকডেকসন কোন থানার তা দেখিয়ে দিয়ে ? থানায় কি একটি গাড়িও ছিল না অসহায় ভিকটিম ও তার অসহায় পরিবারকে এই গভীর রাতে সঠিক থানায় পৌঁছে দেওয়ার ? এতটুকু মানবতা দেখালে কি তাদের সরকারের কাছে জবাবদিহি করতে হত ? আমার তো মনে হয় না । কখনো নয় ।

আমার জানা মতে আইন হল যেখান থেকে ঘটনা শুরু হয় মামলা হবে সেই থানায় এবং যতো ধ্রুত সম্ভব ভিকটিমকে পাঠিয়ে দিতে হবে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে , যাতে ধর্ষণের আলামত নষ্ট না হয় ।
কিন্তু তাকে কেন ঘুরতে হল তিনটা থানায় সারা রাত্রি ধরে ? প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ঘুরে বলতে হল ভাই আমি একজন ধর্ষিতা । আমাকে পাঁচজনে ধর্ষণ করেছে । দয়া করে মামলা নিন ।

‘ শেষে সাড়ে ৬টার দিকে ভাটারা থানায় গেলে বলা হয়, ওসি নেই, অপেক্ষা করতে হবে। ‘

কেন ?

কারন এই ধরনের মামলা গুলো সাধারণত থানার ঊর্ধ্বতন করতিপক্ষ নেওয়ার নিয়ম ।
তাই বলে ৬ টা থেকে দিনের ১২ টা ?
এই ক্ষেত্রে তো থানার এস আই থেকে সেকেন্ড অফিসার যে কেউ মামলা নথিভুক্ত করে ও সি সাহাবেকে জানাতে পারতেন । পারতেন না ?
এ কোন ধরনের মানবিকতা ?
অবস্তা দেখে মনে হয় যারা ধর্ষণ করে তারা অপরাধী নয় , যে ধর্ষিত হয় সে-ই অপরাধী ।

[লেখাটি লেখকের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত।।]

অতিথি লেখক