সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আওয়ামীলীগ নেতার উপর হামলা

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আওয়ামীলীগ নেতার উপর হামলা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির একাংশের নেতা কর্মীরা  হামলা চালিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠণিক সম্পাদক জিএম শফিউল আযম লেনিনকে জখম করেছে। বৃহষ্পতিবার রাত  ৯টায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় লেনিনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি মামলার আসামী হওয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রিপনকে ধরার জন্য পুলিশ উপজেলা পরিষদের সামনে ইস্রাফিলের চায়ের দোকানে অভিযান চালায়। এ সময় রিপন কৌশলে পালিয়ে যায়।

তারা আরো জানান, রিপনকে ধরিয়ে দেয়ার পিছনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠণিক সম্পাদক জিএম শফিউল আযম লেনিনের হাত রয়েছে এমন অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জগলুল হায়দারের ভাই কমারুল হায়দার নান্টুর নেতৃতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির একাংশের নেতা কর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করা লেনিনের উপর লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। হামলায় মারাত্মক জখম লেনিনকে প্রথমে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তারা আরো জানান, আওয়ামী লীগ নেতা লেনিনের উপর হামলার খবর পেয়ে উপজেলার আবাদ চন্ডিপুর ও বংশীপুর থেকে কয়েক’শ আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী শ্যামনগর উপজেলা সদরে এসে ইস্রাফিলের চায়ের দোকান ও সেখানে রাখা একটি মটর সাইকেল ভাঙচুর করে। ভাঙচুর করা হয় প্রেস ক্লাবের দরজা ও জানালা। খবর পেয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সরকার নেতৃত্বে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চায়। পুলিশ লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোঁড়ে। পরে সাতক্ষীরা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠালে পরিস্থিতি সাময়িক শান্ত হয়।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিএম শফিউল আযম লেনিন জানান, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসেম খান ও সাংসদ এইচএম গোলাম রেজার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ করেন। অভিযোগ হাসেম খান বদলি হয়। এ কারণে   জগলুল হায়দার ও সাংসদ এইচ এম গোলাম রেজার মদতপুষ্ট আওয়ামী লীগ ওজাতীয় পার্টির একটি গ্রুপ তার উপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। হামলার সময় শ্যামনগ থানার উপ পরিদর্শক আবুল কাসেম ও উপ পরিদর্শক আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিল। হামলায় সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানেরও ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জগলুল হায়দার জানান, সাংগঠণিক সম্পাদক লেনিন দলীয় নীতি না মেনে ইচ্ছামত নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা করে হয়রানি করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। একইভাবে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রিপনকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশ পাঠালে সাধারন মানুষ লেলিনের উপর হামলা চালায়। যদিও জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে লেলিনের উপর হামলার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান খান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অসত্য উল্লেখ করে বলেন, পুলিশ তাকে হামলাকারিদের ভিতর থেকে উদ্ধার করেছে। আভ্যন্তরীন বিরোধের কারণে আওয়ামী লীগ নেতা জখম হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এসবিডি নিউজ ডেস্ক

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।