দ্বিতীয় স্থানে দুরন্ত রাজশাহী

দ্বিতীয় স্থানে দুরন্ত রাজশাহী

ক্রীড়া প্রতিবেদক,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ প্রথম দুই ম্যাচে পরাজয়ে নামের মর্যাদা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। এরপর টানা তিন ম্যাচ জিতে সত্যি সত্যিই দুরন্ত হয়ে উঠেছে দুরন্ত রাজশাহী। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের সুযোগ ছিল কাল তাদের হারিয়ে চিটাগং কিংসের সঙ্গে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে ভাগ বসানোর। উল্টো দুরন্ত রাজশাহীই ১৪ রানে জিতে ভাগ বসিয়েছে ঢাকার দ্বিতীয় স্থানে! পাঁচ ম্যাচে দুই দলেরই তিনটি করে জয়।

মাত্র ১৪৫ রানের টার্গেট দিয়েও দুরন্ত রাজশাহীর জয়টা বোলারদের কৃতিত্বে, যাতে শেষ পোঁচটা দিয়েছেন দুই পাকিস্তানি পেসার রাজ্জাক ও সামি। শেষ দুই ওভারে জেতার জন্য ঢাকার দরকার ছিল ২৬ রানের। ১৯তম ওভারে মাত্র ৫ রান দেন রাজ্জাক। সামির শেষ ওভারে ২১ রান লাগত ঢাকার। সেই সম্ভাবনাই জাগেনি, উল্টো বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস গড়ে ফেলেন সামি। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে স্টিভেন্স, আফতাব আর রানা নাভিদ—তিনজনই বোল্ড। ইমরান নাজিরের অপরাজিত ৫৪ ঢাকার ইনিংসে শুধু অলংকারই হয়ে থাকে।

এর আগে উদ্বোধনী জুটিতে ৫ ওভারে ৪৫ রান তুলে জুনায়েদ-শাহজাইব রাজশাহীর শুরুটা করে দিয়েছিলেন দারুণ। তবে জুনায়েদের আউটের পর খেই হারিয়ে ফেলেছিল ইনিংস। পরের ২৪ রানের মধ্যে নেই ৪ উইকেট! পঞ্চম উইকেটে স্যামুয়েলস-রাজ্জাক মিলে ২১ রান যোগ করলেও স্যামুয়েলস যে ব্যাটিং করলেন, সেটা ঠিক টি-টোয়েন্টির মতো হলো না। ৩৮ বলে ৩৬-কে টি-টোয়েন্টি-সুলভ ব্যাটিং বলা যাবে না। তবে এর সঙ্গে পোলার্ডের উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা স্যামুয়েলসই। তার পরও সামি-রাজ্জাকদের সৌজন্যে দুরন্ত রাজশাহীর ৯ উইকেটে ১৪৪ রানই ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেল মাশরাফি ও আজহার মেহমুদবিহীন ঢাকার। কুঁচকির চোটের কারণে মাশরাফি ও পিঠের সমস্যার কারণে পাকিস্তানের আজহার খেলতে পারেননি।

 

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।