হরতাল অবরোধ ঘিরে এসব কি হচ্ছে?

হরতাল অবরোধ ঘিরে এসব কি হচ্ছে?

মীর আব্দুল আলীমঃ ৪ এবং ১১ ডিসেম্বরের হরতাল আর ৯ ডিসেম্বর অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে কি দেখলাম আমরা ? কারা হরতাল করছে ? কারা অবরোধ করছে ? রাজপথে বিএনপি-জামাত জোটের সাথেতো সরকার দল আওয়ামীলীগকেও দেখা যায়। বেগম জিয়া এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বিপক্ষে শ্লোগান শোনা যায় । বিরোধীদল পুলিশ পিটায়তো, পুলিশ বিরোধীদলকে পিটায়। একদিকে দেখি আওয়ামীলীগও তার অঙ্গসংগঠনের দৌড় ঝাপ অন্য দিকে বিএনপি জামায়াত শিবিরের তান্ডব। গাড়ি ভাংচুর, খুন, নাশকতা সবই চলছে সমান তালে; চোখের সামনে। এসব কি হচ্ছে হরতাল অবরোধ ঘিরে। দেশের ২ পরাশক্তির ঘাৎ-কষাঘাতে রাষ্ট্রযন্ত্র আজ অচল হবার জো হয়েছে। আর জনগন তাতে চাপে চাপে এক্কবারে চিড়ে চ্যাপ্টা। গত ৪ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের জামায়েতের হরতালেও তাই দেখলাম। ৯ ডিসেম্বরের অবরোধ ছিল আরও ভয়াবহ। ১১ ডিসেম্বরের হরতালের আগের রাতেই দেশজুড়ে গাড়ি পোড়ানোয় দেশ জুড়ে আতংক তৈরি হয়। সেই সঙ্গে ৯ তারিখের অবরোধকালীন সময়ে এক সংখ্যালঘু যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে পিটিয়ে যেভাবে খুন করা হয়েছে তা দেখে কোন মানুষই সুস্থ থাকার কথা নয়। আর রএর দায় পওে ছাত্রলীগের উপরই।
বেশ কিছু দাবিতে পৃথকভাবে অবরোধ এবং হরতাল ডাক দেয় বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলাম । ৯ ডিসেম্বরের অবরোধ এবং ৪ ও ১১ ডিসেম্বরের হরতালে দেশ জুড়ে কেবলই আতংক সৃস্টি হয়েছে । ভয়ভিতি প্রদর্শন এবং গোষ্ঠীর স¡ার্থে অবরোধ হরতালের মতো কর্মসূচি ডাকা থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরত থাকা উচিত। তারপরও যদি ডাক দিতেই হয় তা যেন ভয়তালে পরিণত না হয় সে দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। সরকারের প্রতিও জনগণের দাবি, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেন বিরোধী দলকে অসহায হয়ে মাঠে নেমে আসতে না হয় তার প্রতি লক্ষরাখা সরকারেরই দায়িত্ব। মানুষ ভয়ে রাস্তাঘাটে বের হয় না। রাস্তায বেরিয়েই দেখে অগ্নিমূতিতের্ বিএনপি জামায়াত; আর তা প্রতিহত করতে মাঠে লাঠিসোঠা নিযে দাড়িয়ে আছে  আওয়ামীলীগ সঙ্গে পুলিশ। কোথায় যাবে জনগন ?  জনগণ তখন জান-মালের নিরাপত্তার বড়ই অভাব বোধ করে । তাই তারা ঘর তেকে বের হয় না। তার অর্থ এ নয় যে হরতাল কিংবা অবরোধ সফল হয়েছে। হরতাল অবরোধ করা এবং তা প্রতিহত করা কোনটাই যৌক্তিক নয়।                        হরতাল, অবরোধে কি গণতন্ত ধ্বংস হয়ে যায় ? এসব কি সত্যিই গণতন্ত্রবিরোধী।  কিংবা রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি। এক কথায় উত্তর হলো ‘না’। হরতাল অবরোধ মোটেও কোনো গণতন্ত্র্র  রোধী কর্মসূচি নয়। কিন্তু মনে রাখা প্রয়োজন, কারনে অকারনে হরতাল অবরোধ নয়। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় হরতাল নয়। দলীয় স্বার্থে হরতাল অবরোধ নয়। গণগনকে অহেতুক কষ্ট দিয়ে মোটেও এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা যাবে না। যে কোন অবরোধ কিংবা হরতালের আগে আরো প্রতিবাদের ভাষা গণতন্ত্রের অভিধানে আছে। সেগুলো প্রয়োগ না করে হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি নেওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখি না। রাজনীতি যদি জনকল্যাণের জন্য করা হয় তা হলে অবরোধ হরতালের মতো ধংসাত্মক কর্মসূচি কেন ? এধরনের কর্মসূচি থাকলেও জ্বালাও পোড়াও কেন ? জনগণের ভোগান্তি বাড়িয়ে সুফল পাওয়া যাবে না মোটেও।অন্য দিকে আওয়ামীলীগের বরংবার প্রতিরোধের মনোভাব মোটেও ভাল লক্ষন বলা যাবে না। জনমানুষের সেবা করার অর্থ হচ্ছে রাজনীতি। তাই করা দরকার আমাদের রাজনৈতিক দল গুলোর তাই করা উচিৎ। দেশের মানুষ বড় অসহায় । সিংহভাগ মানুষের নুন আনতে পানতা ফুরায়, বেকারত্ব সীমাহীন। শিক্ষাব্যবস্থায় জটিলতা ও সেশনজট শিক্ষাজীবনে নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে। ব্যবসা বাণিজ্যে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এমনি অবস্থায় জ্বালাও পোড়াও মার্কা হরতালের কর্মসূচি দেশপ্রেমের পরিচয় বহন করে না। রাজনীতিকদের এ ধরনের হরতাল পরিহার এবং হরতালের বিকল্প খুঁজে বের করা প্রয়োজন। জনজীবন অচল করে দিয়ে, গাড়ি পুড়িয়ে, ককটেল ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে, মানুষ হত্যা করে, রাজনীতি করার অধিকার রাজনৈতিক দলের থাকা উচিত নয়।
যুদ্ধাপরাধ মামলায় অভিযুক্ত দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তিসহ বেশ কিছু দাবিতে ৪ ডিসেম্বরের দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করেছে ১৮দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী। ৯ তারিখে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি, ১১ ডিসেম্বরের হরতালে রীতিমত ভয়-আতঙ্কে পড়েছেন দেশের ব্যবসায়ী-জনতা। হরতালীদের ভয়ে ফেলতে, সরকার ব্যাপক ব্যবস্থা করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে ১০ ডিসেম্বও গ্রেফতার কওে পুলিশ। সরকারি ভয়ের বিপরীতে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরও ভয়ানক অ্যাকশনে যায় এ হরতালে হুমকি পাল্টা হুমকী; ভয় পাল্টা ভয দেখিয়ে দেশজুড়ে যে আতংক তৈরি হয়েছে তাতে স্বাভাকিত কমকান্ড, ব্যবসাবানিজ্য স্থবির হয়ে পরেছে। তারা প্রয়োজনে সিরিজ হরতাল ঘোষণার ভয় দেখিয়েছে। তাদের পারস্পরিক এ ভয়াল হরতাল পরিণত হয়েছে ভয়তালে। সরকারি দল চায় হরতালসহ বিরোধীদের যে কোন কর্মসুচি ভন্ডুল করতে। আর বিরোধী দল নানা কর্মসুচির নামে দেশব্যাপী চালাচ্ছে ভাঙচুর আর জ্বালাও-পোড়াও-এর রাজনীতি। দু’দশক ধরে সব রাজনৈতিক কর্মসূচি আর হরতালই হয় শক্তি প্রদর্শনের মহড়া হিসাবে। আমাদের দেশে অবরোধ হরতাল কালচার আমদানি করেছিলেন জননেতা মওলানা ভাসানী। তখন স¡ত:সূর্ত এবং জনমুখী ছিল হরতাল। তার ডাকা হরতাল ছিল পাক শাসকদের (শোষক) মোকাবিলার লক্ষ্যে। তখন আমজনতা নিজেরাই হরতাল পালন করত, হরতাল পালনের জন্য কাউকে বাধ্য করা হতো না। সে হিসাবেই, হরতালকে বলা হয় গণতান্তিক অধিকার। কিন্তু হরতালের নামে এখন জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর আর লুটতরাজ এটাও কি গণতান্তিক অধিকার ? যারা যখন সরকারে থাকেন তখন হরতালের বিরুদ্ধে থাকেন। তখন তারা বুঝতে পারেন, হরতালে দেশের ক্ষতি হয়, প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। বিরোধী দলকে এসব বিষয়ে জ্ঞান দান করতে থাকেন। তারা এরপর বিরোধী দলে গেলেও আর হরতাল ডাকবেন না, এ মর্মে প্রতিশ্রুতিও দিতে থাকেন, সে প্রতিশ্রুতি কখনো পালিত হয় না। কেউ কথা রাখে না। এই হচ্ছে আমাদের দলগুলোর রাজনৈতিক কালচার।
১৯৭২ সাল থেকে ২০০০ পর্যন্ত ২৮ বছরে বাংলাদেশে কমপক্ষে ৪৩৩টি পূর্ণ দিবস ও ৫৭৯টি অর্ধদিবস হরতাল মিলে মোট ১০১২টি হরতাল পালিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭২ সালের শুরু থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচটি পূণর্ঞ্চ দিবস ও ১২টি অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৮২ সালের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময়কালে পালিত হয় ১০টি পূর্ণ দিবস ও ৪৩টি অর্ধদিবস হরতাল। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের ভেতর ১০৪টি পূর্ণ দিবস ও ১৯৪টি অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়। ১৯৯০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৬ সালের ৩০ মাচর্ঞ্চ পর্যন্ত সময়কালে পালিত পূর্ণ দিবস হরতালের সংখ্যা ১৫৫ এবং অর্ধদিবস হরতালের সংখ্যা ২২৩। ১৯৯৬ সালের ৩১ মার্চ থেকে ২০০০ সালের ১২ জুনের মধ্যে পালিত হয় ১৫৯টি পূর্ণ দিবস ও ১০৭টি অর্ধদিবস হরতাল। পরবর্তীকালে পত্র-পত্রিকার হিসাব অনুযায়ী ২০০০ সালের ১২ জুনের পর থেকে ২০১০ সালের ২৭ জুন পর্যন্ত সময়কালে আরও ১৭৭টি হরতাল পালিত হয়। ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রাজত্বকালে কোনো হরতাল পালিত হয়নি। এরপর ২০১০ থেকে আবার শুরু। এর পর খুব বেশী হরতাল হয়েছে তা বরবো না। তবে এখন লক্ষন মোটেও ভাল ঠেকছে না। হরতাল হবে; হরতালের দিকেই যাচ্ছে দেশ। হরতালে দেশের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির একটা হিসাব পাওয়া যায় ইউএনডিপির স্থানীয় গবেষণা থেকে। ২০০৫ সালে প্রকাশিত ইউএনডিপির একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯০-১৯৯১ অর্থবছর থেকে ১৯৯৯-২০০৭ অর্থবছর পর্যন্ত সময়কালে বাস্তবায়িত হরতালের কারণে প্রতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গড়ে ক্ষতি হয়েছে ৮৪ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা! কেন হরতাল সফল হয়, কিভাবে হয় তা আর সাধারণ মানুষের জানতে বাকি নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষ যেটা জানে না তা হলো, কর্মনাশা হরতাল আদৌ  কি তাদের কোনো স¡ার্থ রক্ষা করতে পারে? সমস্যা সমস্যার জায়গাতেই থাকে। বরং হরতাল সমস্যাটাকে আরও ঘণীভূত করে; আরও প্রকট করে। নিছক ক্ষমতার লড়াইয়ের অংশ হিসেবে, এক দলকে হটিয়ে আরেক দলের ক্ষমতায় যাওয়ার কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশব্যাপী হরতাল ডেকে জনগণকে তাদের স¡াভাবিক কাজ-কর্ম থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা সংবিধানে প্রদত্ত ‘গণতান্ত্রিক অধিকার’-এর পর্যায়ে পড়ে না। এতে হরতাল অবরোধ আহবানকারীদের কথিত ‘গণতান্ত্রিক অধিকার’-এর নামে বাদবাকি জনগণের ‘গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার’ হরণ করা হয়।
আইন কি বলে ? হরতাল অবরোধ কি আইন সঙ্গত কোন কর্মসূচী ? আমাদের দেশে এখন যে ধরনের হরতাল হয় তা রাজনৈতিক সন্ত্রস ছাড়া আর কিছুই নয়। হরতাল অবরোধ সাংবিধানিক অধিকার নয়, এমনকি ‘গণতান্তিক’ বা ‘নাগরিক’ অধিকারও নয়। হরতাল হচ্ছে প্রকৃত অর্থে ‘আইন অমান্য আন্দোলন’। সংবিধান কোনো নেতা-নেত্রী বা কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীকে এভাবে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপর্যস্ত করার, কিংবা রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধন করার অধিকার কখনই দেয়নি। সংবিধানের ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯ অনুচ্ছেদে মতপ্রকাশের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তার কোথাও হরতালকে ‘সাংবিধানিক অধিকার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়নি। সাংবিধানিক অধিকার, নাগরিক অধিকার যে কোনো অর্থে হরতাল নামের এ ভয়তাল কোনো অধিকারের মধ্যেই পড়ে না।
আমাদেও রাজনীতিবিদরা সাধারণ মানুষের কল্যাণে এ যাবৎ কিছুই করতে পারেননি, অথবা কিছু করার চেষ্টা করেননি। এখনও মোট জনসংখ্যার ৪০% দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে, তাদের কল্যাণে কিছুই করা হয়নি ৪২ বছরে, অবরোধ হরতালের  তো কর্মসূচি দিয়ে গরিব জনসাধাণের ভোগান্তি বাড়ানো সমীচীন হতে পারে না। হরতাল অবরোধ যেমন আন্দোলনের হাতিয়ার তেমনি আবার অর্থনীতিকে ধ্বংস করার যড়যন্ত্র। বাংলাদেশের মতো একটি জনবহুল ও উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। একটি দেশে স্থিতিশীলতা বলতে বোঝায় প্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যবস্থা এবং তার ধারাবাহিকতার মেয়াদপূর্তি হলে নির্বাচন, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন, আইনের আওতায় থেকে ও আইন মেনে ক্ষমতা প্রয়োগকরণ, জাতীয় সংসদ চালু থাকা এবং সেখানে সরকারের জবাবদিহি করা, অর্থনীতিতে গতি থাকা। আমরা এখনো পুরনো রাজনীতির চর্চা করছি। অতীত থেকে আমরা কোনো শিক্ষা পাইনি। আর পাইনি বলেই প্রতিহিংসার রাজনীতি সর্বক্ষেত্রে। কী সরকারি দল, কী বিরোধী দলথসবাই ব্যস্ত নিজেকে নিয়ে। ব্যক্তি ও দলীয় চিন্তার বাইরে কেউই যেতে পারছি না। সম্ভাবনার এই বাংলাদেশকে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে হলে এ ঘূর্ণিপাক থেকে বের হতে হবে। গণতন্ত্র্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে হলে সবাইকে ইতিবাচক চিন্তা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। হরতাল আবরোধের মতো কোন কর্মসূচী দিতে হলে ভেবে চিন্তে তবেই দেয়া উচিৎ; অন্যথায় হুমকির মুখে পড়বে দেশের অর্থনীতি। বিপন্ন হবে দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি এবং গণতন্ত্র।

(লেখক-মীর আব্দুল আলীম, সাংবাদিক, নিউজ-বাংলাদেশ ডটকমের সম্পাদক । )

অতিথি লেখক