গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে লাখ লাখ শিশু

গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে লাখ লাখ শিশু

এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্ক: টানা দুই মাসের বেশি সময় গাজায় সর্বাত্মক অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরাইল। খাবার, পানি, ওষুধসহ সব ধরনের ত্রাণসামগ্রী যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে ইসরাইলি সেনারা। ইসরাইলের এ সর্বাত্মক অবরোধে পুষ্টিহীনতায় মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে পাঁচ বছরের কম বয়সি দুই লাখ ৯০ হাজার শিশু। গত রোববার গাজার মিডিয়া দপ্তরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের জেরে ক্ষুধার কারণে আসন্ন মৃত্যুর মুখে রয়েছে পাঁচ বছরের কম বয়সি তিন হাজার পাঁচ শতাধিক শিশু। অপুষ্টিজনিত অসুস্থতায় অন্তত ৭০ হাজার শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুষ্টিহীনতার কারণে গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সি অন্তত দুই লাখ ৯০ হাজার শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘জীবনধারণের জন্য যখন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থেকে ১১ লাখ শিশু বঞ্চিত হচ্ছে, তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের লজ্জাজনক নীরবতার মধ্যেই ইসরাইলি দখলদাররা ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।’

গাজায় ক্ষুধায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলেও অবরুদ্ধ উপত্যকাটির ২৩ লাখ বাসিন্দার খাবার প্রবেশের জন্য ইসরাইলকে বাধ্য করায় ব্যর্থ হয়েছে। ত্রাণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য সংকট পুরো গাজাকে ক্ষুধার মুখে ঠেলে দিয়েছে। বাজারে থাকা অল্প যে খাবার রয়েছে, তার মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে গাজার ৮০ ভাগের বেশি মানুষ ত্রাণ সরবরাহের ওপর নির্ভর করছে। ত্রাণ সংস্থা ও অধিকার সংগঠনগুলো ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করছে।

অন্যদিকে ইসরাইলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর হাতে বন্দি থাকা জিম্মিদের মুক্তিতে বাধ্য করার জন্য এ অবরোধ অপরিহার্য। গাজায় এ অবরোধের সঙ্গে ইসরাইলি আগ্রাসনে বেড়েই চলছে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর মিছিল। সোমবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বিবৃতিতে বলা হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় ২৩ জন নিহত ও আরো ১১৯ জন আহত হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৯ মাসের আগ্রাসনে নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৫৬৭ জন এবং আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ৬১০ জন।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক