নিউমোনিয়া: ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

নিউমোনিয়া: ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ: নিউমোনিয়া একটি প্রাণঘাতী রোগ। এ রোগে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার শিশু এই রোগে মারা যায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ নিউমোনিয়ার চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশে প্রতি বছর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২০ হাজার শিশুর মৃত্যু ঘটে। ১০ বছর আগে দেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে প্রায় ৫০ হাজার শিশুর মৃত্যু হতো। বিশ্বজুড়ে প্রতি ২০ সেকেন্ডে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে একজন করে নিউমোনিয়ায় প্রাণ হারায়। শিশুমৃত্যুর এই হার এইডস ও ম্যালেরিয়ায় সম্মিলিত প্রাণহানির চেয়েও বেশি। অনেকেই মনে করেন, শিশুদের জন্য নিউমোনিয়া একটা অভিশাপ।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) এ ধরনের শিশুর মৃত্যুহার কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। নিউমোনিয়ায় শিশুর মৃত্যুহার কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি, সেসব বিষয় আজকের আলোচনায় আসবে। এ ক্ষেত্রে শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি। শিশুদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল এবং অন্যান্য অসুস্থতার কারণেও তারা এই রোগে আক্রান্ত হয়। শিশুমৃত্যুর একটি বড় কারণ হচ্ছে নিউমোনিয়া। তবে বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরে টিকার ব্যবস্থা করেছে। এই টিকা আমরা যদি সর্বস্তরের জনসাধারণের মধ্যে নিয়ে যেতে পারি এবং সবাইকে দিতে পারি, তাহলেই নিউমোনিয়ায় মৃত্যুহার অনেক কমিয়ে আনা যাবে। যদিও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির মধ্যে এটা অন্তর্ভুক্ত আছে। কিন্তু সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজন। ২০০৯ সালে ১২ নভেম্বরকে ‘নিউমোনিয়া দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। এরপর থেকে বাংলাদেশে দিবসটি প্রতি বছর পালন করা হয়। এ উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়।

চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গবেষণার তথ্যানুযায়ী, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। যার আনুমানিক সংখ্যা ৬০ লাখ এবং প্রতি বছর ৫ বছরের নিচে শিশুদের মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ৫০ হাজার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর ৯৩ লাখ ৫০ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়। দিনে গড়ে প্রায় ২ হাজার ৫০০ শিশুর মৃত্যু হয়। নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে থাকা দেশের মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশে ৫৪ শতাংশ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হলেও বাংলাদেশে এই সংখ্যা ৩৭ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১ লাখ মানুষ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। তাদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের নিচে প্রায় ২০ হাজার শিশুর মৃত্যু ঘটে। ভারতে এ সংখ্যা ৪ লাখের কিছু বেশি। ঢাকা শিশু হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক বছরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৩ হাজার ৯৫৫ শিশুর মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল ৩ হাজার ৩৭৮ জন। এই সময়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ১৩৬ শিশুর মৃত্যু হয়।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের জন্য বিশেষ কোনো ঋতুকে দায়ী করা যায় না। এ রোগ থেকে শিশুকে মুক্ত রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, জন্মের পর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো ও জীবাণুমুক্ত পরিবেশে থাকা নিশ্চিত করা। পাশপাশি মা ও পরিবারের সবার স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। নতুন এক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রচেষ্টা জোরদার করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ১ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে নিউমোনিয়া ও অন্যান্য বড় ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণের হাত থেকে বাঁচানো যেতে পারে। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি আজ এই বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে, যখন ৯টি শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য ও শিশুদের সংস্থা বার্সেলোনায় শৈশবকালীন নিউমোনিয়া বিষয়ক প্রথম বৈশ্বিক ফোরামের আয়োজন করেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দশকজুড়ে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১ লাখের বেশি শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে। তবে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সেবা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় জোরদার করার মাধ্যমে আনুমানিক ৪৮ হাজার শিশুর মৃত্যু এড়ানো যেতে পারে। গবেষকরা আরও দেখেছেন যে, নিউমোনিয়া মোকাবিলায় প্রচেষ্টা জোরদার করা হলে তা এর বাইরে একটি ‘রিপল ইফেক্ট’ তৈরি করতে পারে, যা একই সঙ্গে অন্যান্য বড় ধরনের শৈশবকালীন রোগে আরও ৯২ হাজার শিশুর মৃত্যু ঠেকাতে পারে। শিশুদের পুষ্টির উন্নতি, অ্যান্টিবায়োটিক প্রদান ও টিকাদানের আওতা বাড়ানো এবং স্তন্যপানের হার বাড়ানো– এই পদক্ষেপগুলো নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং এই হস্তক্ষেপগুলো ডায়রিয়া (২৫ হাজার), সেপসিস (৩ হাজার) ও হামের (৩৩ হাজার) মতো রোগে হাজার শিশুর মৃত্যুও ঠেকাতে পারে। গবেষকরা বলছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ এই প্রভাব এতো ব্যাপক হবে যে শুধুমাত্র নিউমোনিয়া প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে সব ধরনের কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১ লাখ ৪০ হাজার শিশুর মৃত্যু এড়ানো যেতে পারে।

ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের কারণে নিউমোনিয়া হয় এবং এই রোগে আক্রান্ত হলে শিশুদের ফুসফুস পুঁজ ও তরলের ভরে যায়, যার কারণে তাদের নিঃশ্বাস নিতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। এই রোগটি বাংলাদেশে শিশুদের অন্যতম বড় ঘাতক, যার কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৩ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিকার মাধ্যমে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ এবং স্বল্প-মূল্যের অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্যে সহজেই চিকিৎসা করা যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে এক বছরের কম বয়সী অনেক শিশুকে টিকা দেওয়া হয়নি এবং এই রোগের লক্ষণে ভোগা সত্ত্বেও অর্ধেকের বেশি সংখ্যক শিশু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পায় না। সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী কেভিন ওয়াটকিন্স, বলেন “যে পরিমাণ জীবন বাঁচানো যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে সম্ভাবনা তার চেয়ে অনেক বেশি, কেননা এই গবেষণায় অক্সিজেনের সহজলভ্যতা বা বায়ু দূষণ কমানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়নি, যে বিষয়গুলো নিউমোনিয়ার জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত। এই ফলাফলগুলো কী সম্ভব তা দেখায়। টিকা, স্বল্প মূল্যের অ্যান্টিবায়োটিক ও নিয়মিত অক্সিজেন চিকিৎসার অভাবে লাখ লাখ শিশুকে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে দেখা এবং তা চলতে দেওয়া নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।”

এই বিষয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেন, “সব চেয়ে দরিদ্র ও বঞ্চিত শিশুরাই নিউমোনিয়ায় মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে সবথেকে বেশী।ধনী পরিবারেরে শিশুদের তুলনায় দরিদ্র পরিবারের শিশুদের সেবা পাওয়ার সম্ভাবনা অর্ধেক এবং তাদের পাঁচ বছরের জন্মদিনের আগেই মারা যাওয়ার সম্ভাবনাও দ্বিগুণ। নিউমোনিয়ার কারণে শিশু মৃত্যু বন্ধের সম্ভাবনার অগ্রগতি যথেষ্ট তরান্বিত হয়নি বা ন্যায্য নয়। এর জন্য স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পানি, পয়নিস্কাশন, স্বাস্থ্যবিধি এবং বায়ুদূষণ সহ আন্তঃখাত সমন্বয়ে  প্রকল্প প্রয়োজন। ইউনিসেফ, সেভ দি চিলড্রেন ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থা যৌথভাবে বাংলাদেশ সরকারকে নিউমোনিয়া মোকাবিলায় সহায়তা করে।”

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে প্রতিবছর বিশ্বে ২০ লাখ শিশুর মৃত্যু হয় নিউমোনিয়ার কারণে। ভারতে এ সংখ্যা ৪ লাখের বেশি। বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম আলমগীর বলেন, ‘নিউমোনিয়ার সবচেয়ে কার্যকর প্রতিষেধক নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) দেশে চালু করার আগে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দিতে হবে। নয়তো অনেক ক্ষেত্রেই হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ কোনো নির্দিষ্ট এলাকার পরিবেশ-প্রতিবেশের ওপর যেকোনো ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নির্ভর করে। অন্য দেশে কোনো ভ্যাকসিন কার্যকর হলে সেটা আমাদের দেশেও কার্যকর হবে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। অনেক দেশ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়াও এ ভ্যাকসিন চালু করেছে, আমরা তা করতে চাই না। তাই সরকারিভাবে ট্রায়ালের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিউমোনিয়ার কারণে ফুসফুসের মূল অংশে পানি জমে যায়। ফলে ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং কার্যক্ষমতা কমে যায়। নিউমোনিয়ার প্রভাবে সর্দি-জ্বর, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কফসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না পেলে আক্রান্ত শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কাই বেশি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশে নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন বেসরকারিভাবে বাজারে পাওয়া যায়। এটা খুবই ব্যয়বহুল। এ ভ্যাকসিন সরকারিভাবে আনা গেলে অনেক সহজলভ্য হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নিউমোনিয়া রোধে পিসিভি বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ও উন্নত কার্যকর ভ্যাকসিন হলেও হাতে গোনা কয়েকটি দেশ এ ভ্যাকসিনের সুবিধা পেয়েছে। গ্যাভির (দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন) অনুমোদন পাওয়ার পরই কেবল এ ভ্যাকসিন সুবিধা পাওয়া যাবে। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গত বছর অনুমোদন লাভের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে আগে থেকেই নিউমোনিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ অনুযায়ী সাধারণ কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জি টাইপ বি (হিব) ভ্যাকসিনও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৪ অনুযায়ী ৫ বছরের কমবয়সী শিশুমৃত্যু হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে উপনীত হয়েছে। বিশ্বের যে ৬টি মাত্র দেশ ১৯৯০ সালের তুলনায় বর্তমান শিশুমৃত্যুর হার দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। তবে এখনও ৫ বছরের কমবয়সী অনেক শিশু প্রতিরোধযোগ্য ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার কারণে মারা যায়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে শিশুমৃত্যু ও অসুস্থতার একটি প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। ইউনিসেফের সাম্প্রতিক নিরীক্ষা অনুযায়ী এখনও বিশ্বব্যাপী শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। যেমন শুধু ২০১২ সালে শিশুমৃত্যুর শতকরা ১৭ ভাগ বা ১১ লাখ মৃত্যুর জন্য নিউমোনিয়াই দায়ী। এসব মৃত্যুর শিকার শিশুদের ৮০ শতাংশের বয়সই ২ বছরের নীচে। নিউমোনিয়াজনিত মৃত্যুর বেশিরভাগই ঘটে উন্নয়নশীল দেশে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, শতকরা ৭৫ ভাগই ঘটে মাত্র ১৫টি দেশে। বাংলাদেশে ৫ বছরের কমবয়সী শিশুদের মৃত্যুর শতকরা ২৫ ভাগই নিউমোনিয়ার কারণে হয়ে থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নিরাপদ, কার্যকর ও সাশ্রয়ী ব্যবস্থা থাকলেও তা সঠিক সময়ে মানুষের কাছে পৌঁছায় না। নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ দেখা দেয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা প্রদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা বিদ্যমান প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবস্থায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। তাই রোগাক্রান্ত পরিবারের মধ্যে ফলপ্রসূ চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেয়া আসলেই একটি চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৫ বছরের কমবয়সী শিশুদের নিউমোনিয়া ঘটিত মৃত্যুহার কমাতে নব্বইয়ের দশক থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সাফল্য ধরে রাখতে হলে আমাদের অবশ্যই শিশুমৃত্যুর হার আরও কমাতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস এবং সরকারের আন্তরিকতা। অন্যথায়, নিউমোনিয়া’র মতো একটি প্রাণঘাতী রোগ মোকাবেলা করা আদৌ সম্ভব নয়।।

লেখক: প্রধান সম্পাদক,এসবিডি নিউজ24 ডট কম।

ইমেইল: jsb.shuvo@gmail.com

editor