যথাসময়ে ৩০ হাজার পোলিং ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবেঃ ইসি

যথাসময়ে ৩০ হাজার পোলিং ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবেঃ ইসি

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩০ হাজার প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ দিবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে ইসি সচিবালয় থেকে কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইসি সচিবালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইসি সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকারের অধীনে বিভক্ত ডিসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে ইসির জন্য একটি বড় কাজ। বিশাল এ ভোটযজ্ঞ সম্পন্ন করতে প্রচুর পরিমাণে প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার দরকার। প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়োগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে ইসির পক্ষ থেকে। যথাসময়ে ৩০ হাজার পোলিং ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবে বলেও জানায় একই সূত্র।

কমিশন থেকে জানা যায়, উভয় সিটি করপোরেশনে ৪০ লাখ ভোটার রয়েছে। এ ভোটারদের যাবতীয় তথ্য সম্বলিত সিডি তৈরির কাজও শেষ হয়েছে। ভোটার তালিকার সঙ্গে এসব সিডিতে সংরক্ষিত তথ্য নির্বাচন কর্মকর্তারা বর্তমানে মিলিয়ে দেখছেন। তালিকার সঙ্গে সিডিতে রক্ষিত তথ্যে কোনো ধরনের গড়মিল লক্ষ্য করা গেলে তা আমলে নেয়া হবে বলে জানা যায়। ডিসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নতুন ভোটারকেন্দ্র স্থাপন, ভোটগ্রহণের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সংগ্রহের হিসেবে নিকেশ সম্পন্ন করেছে কমিশন। ডিসিসি নির্বাচনের কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে অধিকাংশ ভোটই পুরনো ব্যালট-সিল পদ্ধতিতে নেয়া হবে। আইন অনুযায়ী কোনো সিটি করপোরেশন গঠনের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসির ওপর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসেব অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতেই বিভক্ত ডিসিসি গঠনের ৯০ দিন পূর্ণ হবে। বিদায়ী কমিশন ৯০ দিনে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে সরকারকে জানিয়ে ভোট অনুষ্ঠান থেকে বিরত থেকেছে। এ অবস্থায় ৯০ দিনের পরিবর্তে ১৮০ দিনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন হয়েছে। জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই এ প্রস্তাবটি পাস হতে পারে।

১৮০ দিনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পাস হওয়ার পরই কমিশন বিভক্ত ডিসিসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করতে পারবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিউদ্দিন আহমদ সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘ডিসিসি নির্বাচনের কাজ ভালভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। যথাসময়ে বিভক্ত দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’’

সংসদের চলতি অধিবেশনে অনুমোদিত প্রস্তাবটি পাস হলে এপ্রিলের মাঝামাঝি ডিসিসির তফসিল ঘোষণা করা হবে। সবকিছু ঠিক মতো এগিয়ে গেলে মে মাসের শেষ সপ্তাহে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে পারে বলেও জানায় একই সূত্র।

নিজস্ব প্রতিনিধি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।