নেদারল্যান্ডসের জয় দিয়ে শুরু এবং ইরানের দুঃখজনক পরাজয়

নেদারল্যান্ডসের জয় দিয়ে শুরু এবং ইরানের দুঃখজনক পরাজয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক, এসবিডি নিউজ24 ডট কম: কাতারে ফিফা বিশ্বকাপে জয় দিয়েই অভিযান শুরু করল নেদারল্যান্ডস। ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ২-০ গোলে সেনেগালকে হারালো গকপোরা। সাদিও মানের বিশ্বকাপে না থাকাটা যে সেনেগালের জন্য কতটা অপূরণীয় ক্ষতি সেটা হারে হারে টের পেলো আফ্রিকান দলটি। আল থুমামা স্টেডিয়ামে এদিন প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের মুখ দেখেনি। পরে ম্যাচের ৮৪ মিনিটে গাকপো এবং খেলা শেষের অতিরিক্ত সময়ের অষ্টম মিনিটে গোল করে দলকে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা এনে দেন ক্লাসেন। ম্যাচের ৪ মিনিটেই পিএসভির মিডফিল্ডার গাকপোর করা ব্যাকহিল থেকে বারউনের শট সেনেগালের ডিফেন্স ব্লক করে দেয়।

ম্যাচের ৯ মিনিটে বল পায়ে সেনেগালের সার-এর করা শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ১৭ মিনিটে আবারো লাইমলাইটে গাকপো। তার বাড়ানো বলে ডেলে ব্লাইন্ডের হেড গোলবারে লেগে বাইরে চলে যায়। ১৯ মিনিটে সহজ সুযোগটি মিস করেন ডি ইয়ং। কর্নার থেকে ডি বক্সের ভেতর বল পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন এই বার্সা মিডফিল্ডার। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ডাচ মিডফিল্ডার বারঘুইসের শট সেনেগালের চেলসির মিডফিল্ডার এডোয়ার্ডো মেন্ডি দুর্দান্তভাবে রুখে দেন। বল পজিশনে সমান অবস্থানে থেকে দুই দলই প্রথমার্ধ শেষ করে।

অপরদিকে, বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংলিশদের কাছে পাত্তাই পেল না ইরান। ইরানকে রীতিমতো পাড়ার দল বানিয়ে ছেলেখেলা করেছে হ্যারি কেইনরা। কাতারের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সোমবার (২১ নভেম্বর) ইংল্যান্ড ৬-২ গোলে ইরানকে পরাজিত করে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করে।

মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে ডান দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে উইলসন। গোল বারের সামনে যেয়ে গোলরাক্ষকের মুখোমুখি হয়েও শট নেননি। ডি বক্সে থাকা গ্রিলিশকে পাস দিলে তিনি আলতো শটে ফাঁকা পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন। ৮৯ মিনিটে ৬ গোল পূর্ণ করে ইংল্যাড। দুই হাতে মেলে কাঁধ ঝাঁকিয়ে অসাধারণ নৃত্যতে গোল উৎসব করেন এই তারকা ফুটবলার।

প্রথম গোলের দেখা পেতে ইংল্যান্ডকে অপেক্ষা করতে হয় ৩৪ মিনিট! ৩৫ মিনিটে প্রথম গোলটি দেন বেলিংহাম। এরপরেই যেন ইংলিশরা জাদু বাক্স পায়। ৪৩ ও ৪৫(+১) মিনিটে আরও দুটি গোল করেন শাকা-স্টার্লিং। শুরুতে অনেক সময় নষ্ট হওয়ায় প্রথমার্ধে অতিরিক্ত ১৪ মিনিট খেলা হয়। এ সময় আরও কয়েকটি সুযোগ পেলেও গোল দিতে পারেনি ইংলিশরা। ম্যাচজুড়ে দাপট ছিল ইংলিশদের। ৭৭ শতাংশ বল ছিল তাদের পায়ে। যেখানে ইংল্যান্ড আক্রমণ করেছে ৭টি সেখানে ইরান করে মাত্র ১টি।

বেলিংহামের পর ৪৩ মিনিটে শাকার গোল। ২-০ গোলে এগিয়ে ইংল্যান্ড। মাগুইয়ারের সহায়তায় ডি বক্সে বল পান শাকা। এর আগে কয়েবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শাকাকে এবার থামানো যায়নি। ডান দিক দিয়ে হাওয়ায় ভাসানো জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন দ্বিতীয়বারের মতো। ৩৫ মিনিটে বেলিংহামের হেড থেকে। বাঁ দিক থেকে শর ক্রস থেকে ডি বক্সে থাকা বেলিংহাম লাফিয়ে উঠে দুর্দান্ত হেডে ইরানের জাল স্পর্শ করেন।

ক্রীড়া প্রতিবেদক