শেয়ার কেনাবেচায় নতুন নির্দেশনা

শেয়ার কেনাবেচায় নতুন নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, এসবিডি নিউজ24 ডট কম: ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর কোম্পানির পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ এবং এককভাবে দুই শতাংশ শেয়ার ধারণে বাধ্যবাধকতা আরোপ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়েছে ৩৭ কোম্পানি। অর্থাৎ কোম্পানিগুলো ২সিসি আইন পরিপালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এসব কোম্পানির ক্ষেত্রে মূলধন বাড়ানোর জন্য কোন রাইট শেয়ার কিংবা রিপিট পাবলিক অফার (আরপিও) ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে আরেকটি নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে বিএসইসি । নতুন নির্দেশনায় বলা হচ্ছে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশের নিচে অবস্থান করা পরিচালকরা ব্লক মার্কেটে শেয়ার বিক্রি করতে পারবে না। স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে এসব কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তবে নিজেদের মধ্যে শেয়ার ট্রান্সফারের সুযোগ রাখা হবে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।


সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৭ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সম্মিলিত ধারণকৃত শেয়ারের পরিমাণ ৩০ শতাংশের নিচে রয়েছে। এর মধ্যে ফাইন ফুডের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ১.০৭ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া ইনটেক লিমিটেডের ৪.৭৭ শতাংশ শেয়ার, ফুয়াং ফুডের ৪.৭৬ শতাংশ শেয়ার, ইউনাইটেড এয়ারের ৪.১৬ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংকের ৬.৫৭ শতাংশ শেয়ার, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ৯.৪০ শতাংশ শেয়ার, অগ্নি সিস্টেমের ১১.৪০ শতাংশ শেয়ার, এ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালের ১২.০২ শতাংশ শেয়ার, উত্তরা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ১২.৫৮ শতাংশ শেয়ার, বেক্সিমকো ফার্মার ১৩.১৮ শতাংশ শেয়ার, জেনারেশন নেক্সটের ১৩.৮২ শতাংশ শেয়ার, বিজিআইসির ১৬.১৬ শতাংশ শেয়ার, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ২০.৯৬ শতাংশ শেয়ার, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের ২১.৬৫ শতাংশ, ফু-ওয়াং সিরামিকসের ৫.৩৩ শতাংশ, আফতাব অটোসের ২৮.৪২ শতাংশ, এপেক্স ফুটওয়্যারের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ১৯.৪২ শতাংশ, এ্যাপোলো ইস্পাতের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২১.১৯ শতাংশ, বারাকা পাওয়ারের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ১৯.৯১ শতাংশ, বিডিকম অনলাইন বিডি পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৩.১০ শতাংশ, বিডি ফাইন্যান্সের ২৫.১৭ শতাংশ, বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২০.১৫ শতাংশ, কনফিডেন্স সিমেন্টের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৫.৫০ শতাংশ, ডেল্টা স্পিনিংয়ের ১৯ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২১.০৪ শতাংশ, কর্নফুলী ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৫.৭২ শতাংশ, কে এ্যান্ড কিউয়ের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৪.০৬ শতাংশ, ম্যাকসন স্পিনিংয়ের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৪.৪৬ শতাংশ।


এছাড়া মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ১৮.৪৩ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৪.৫২ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৭.৯৫ শতাংশ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৮.৯২ শতাংশ, ফার্মা এইডসের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৮.৪৪ শতাংশ, পূবালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৮.৮৯ শতাংশ, আরডি ফুডের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৬.৫৬ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালসের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২২.১৪ শতাংশ এবং তাল্লু-স্পিনিংয়ের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৯.০৪ শতাংশ।

নিজস্ব প্রতিনিধি