বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

পুলক চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ১৪ জুলাই (সোমবার) সকাল থেকে রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলোতে  শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতরের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ টার্মিনাল ছাড়াও শ্যামলী, কল্যাণপুর, কলাবাগান, ফকিরাপুল, কমলাপুর, মালিবাগসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা বাস কোম্পানির কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সোমবার ভোর থেকে টিকেট প্রত্যাশীরা ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন বাস কাউন্টারে। লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীরাদের অভিযোগ, টিকেট পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে অনেকক্ষণ। অনেকেই প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যে টিকেট না পেয়ে ফিরে গেছেন। কাউন্টার মাষ্টাররা বলছেন, ‘চলতি সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার অনেকেই আসতে পারেন ঈদের অগ্রিম টিকেট কাটতে। এদিন সম্ভাব্য ভিড় দেখা দেবে কাউন্টারগুলোয়।

ভোর থেকে শুরু হওয়া লাইনে দাঁড়িয়ে প্রথমদিনে যারা টিকেট কিনতে পেরেছেন, তারা ফিরে গেছেন বেশ সকালেই। দুপুর ১২ টার এসে দেখা গেলো, গাবতলীতে কমে এসেছে ভিড়ভাট্টা। গাবতলী বাস টার্মিনালে হানিফ কাউন্টারে বসে আছেন মো: কবির। কাউন্টারের দেয়ালে ‘উত্তরবঙ্গের ঈদ টিকেট দেয়া হচ্ছে’ সংক্রান্ত একটি পোস্টার সাটানো। কবিরের বললেন, ‘সকালে কিছুটা ভিড় থাকলেও এখন টুকটাক চলছে বেচাকেনা। এ সিজনে যাত্রী তুলনামূলক কম।’ টুকটাক এই ‘বেচাকেনার’ চিত্র দেখা গেল গাবতলী টেকলিক্যালের শ্যামলী কাউন্টার, জেআর, ফাতেমা, মর্ডান লাইন, ইশ্বরদী এক্সপ্রেসসহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বাস কাউন্টারগুলোতে। তবে একেবারেই ভিন্ন চিত্র চোখে পড়ল টিআর, এসআর এবং আলহামরা পরিবহন কাউন্টারে। উত্তরবঙ্গগামী এই বাসগুলোর কাউন্টারে দুপুর ১২টাতেও বেশ লম্বা লাইন। সারিবদ্ধভাবে মানুষ কাউন্টারে ঢুকছেন, টিকেট হাতে হাসিমুখে বেরিয়েও আসছেন। আবু তাহের নামের এক যাত্রী রংপুরের টিকেট কেটেছেন। তিনি বললেন, ‘এরা টিকেটে লিখছে ৪৫০, তবে নিচ্ছে ৪৯০ টাকা।’ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানান, এবার বেশি ভাড়া না নিতে কাউন্টাররগুলো বারবার করে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারপরও যদি কোনো কাউন্টার থেকে সরকারি চার্টের চেয়ে বেশি ভাড়া নেয়া হয়, তাহলে ওই পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ‘দু একটি কাউন্টারে বকশিশের নামে ২০-৫০টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে বলে শুনেছি। তবে এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’ তিনি আরো বলেন, ‘মানুষ যাতে নিরাপদে ও সুস্থভাবে বাড়ি ফিরতে পারে, যাত্রীদের যাতে হয়রানি না হয়, সেজন্য বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সড়ক পরিবহন সমিতি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কোনো সমস্যা হবে না বলেই আশা করছি।’ এছাড়াও নিরাপত্তা ও যাত্রী হয়রানি রোধে গাবতলীর বিভিন্ন স্থানে ওয়াচ টাওয়ারসহ নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন খন্দকার এনায়েত। এর আগে রাজধানীর সব টার্মিনাল ও বাস কাউন্টার থেকে ১৪ জুলাই থেকে একযোগে টিকিট বিক্রি শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবহন মালিকরা। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এসব টিকিট বিক্রি হবে।

নিজস্ব প্রতিনিধি