আবারও কর্মচঞ্চল ঢাকা

আবারও কর্মচঞ্চল ঢাকা

কাজী মাহফুজুর রহমান শুভ,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি ও টানা তিন দিনের হরতালে ঝিমিয়ে পড়া ঢাকার নগরজীবন ৩০ অক্টোবর (বুধবার) সকাল থেকে আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে। সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন পেশাজীবী ছুটেছেন নিজ নিজ কর্মস্থলের দিকে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে ছুটেছে নানা বয়সী শিক্ষার্থী। পথচারী ও হকারের ভিড়ে সরগরম ফুটপাত। রাজপথসহ বিভিন্ন সড়কে সেই চিরচেনা যানজট। এ জটের বিড়ম্বনা আজ বেশি। শহরের কেন্দ্রস্থলের প্রবেশমুখে যানজটের তীব্রতা ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এর ঢেউ এসে পড়ে অফিসপাড়াগুলোয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, পান্থপথ, সোনারগাঁও মোড়, বিজয় সরণি, মহাখালী ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় সব ধরনের যানবাহনের চাপ বেশি ছিল। সকাল থেকে শুরু হওয়া এই যানজট দুপুর ১২টায়ও কমেনি। রাস্তার গাড়ি, মানুষের চাপ যা-ই থাকুক, টানা তিন দিন পর আজ সকালে স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে বের হওয়ার তাগাদা বেশিই ছিল জেসিয়া রহমানের। মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী সুবহা জামানকে নিয়ে রিকশা থেকে নামার পর তিনি বলেন, রিকশাওয়ালারা আজ ভাড়া যেন বেশি চাচ্ছে। তবে স্কুলে না এসে উপায় নেই। আবার নাকি হরতাল হবে। সামনে পরীক্ষা, সিলেবাস শেষ করাতে হবে। তবে রিকশাওয়ালা হাশেম আলী বলেন, হরতালে দূরে খেপ মারছি। ভাড়া পাইছি বেশি। আজই রেট কম। আকিলা খাতুনের নিজের গাড়ি থাকায় রাজধানীর উত্তরা থেকে রওনা হয়ে মতিঝিলে অফিসে আসতে সময় লেগেছে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা। তবে সকাল সাতটায় বাসা থেকে বের হওয়ায় রাস্তায় ধকল পোহাতে হয়নি তাঁকে। আক্ষেপের সুরে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন,  কোনটি যে অফিসপাড়া আর কোনটি যে ঢাকার আবাসিক এলাকা, তা বোঝা মুশকিল। পল্টন মোড়ে বাস থেকে নেমে তিনি বলেন, হরতালে অফিসে চলে এসেছিলাম মাত্র ১৫ মিনিটে। আজ মোহাম্মাদপুর রিং রোডের বাসা থেকে সকাল পৌনে আটটায় বের হয়ে বাসে করে পল্টনে আসতে দুই ঘণ্টার মতো লেগেছে। পুরো রাস্তায়ই জ্যাম।
মতিঝিলে ট্রাফিকের সহকারী কমিশনার হাফিজ আল ফারুক জানান, আতঙ্কে মানুষ হরতালের তিন দিন গাড়ি রাস্তায় বের করেননি। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আজ সবাই প্রয়োজনের তাগিদে বের হয়েছেন। সকাল আটটা থেকেই মতিঝিল এলাকায় যানজট রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিনিধি