গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী উড়ালসড়কের একাংশ উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত!

গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী উড়ালসড়কের একাংশ উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত!

রিয়াদ হাসান,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ নান্দনিক ও আধুনিক গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী উড়ালসড়কের একাংশ উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত। অথচ এর নিচের বেহাল সড়কগুলো পুরো প্রকল্পকে শ্রীহীন করে রেখেছে। সেদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কোনো পদক্ষেপ নেই। সড়কগুলো মেরামতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা আছে। তারপরও তা উপেক্ষা করেই উদ্বোধনের তোড়জোড় চলছে উড়ালসড়কটির। ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন থেকে ফিরলেই যেকোনো একদিন উদ্বোধন হবে উড়ালসড়কটি। তবে ২৮ সেপ্টেম্বরের আগে নয় সেটি।

১৫ সেপ্টেম্বর (রোববার) উড়ালসড়ক এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ফুলবাড়িয়া থেকে গুলিস্তান হয়ে জয়কালী মন্দির, স্বামীবাগ, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী এবং কুতুবখালী পর্যন্ত এলাকার সড়কগুলো ব্যবহার অনুপযোগী। এ ছাড়াও উড়ালসড়কের নিচের রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ সব স্থাপনা এবং রাস্তার দুই পাশে অবৈধ বাজার সড়ককে আরো সংকুচিত করে ফেলেছে। এতে আরো বেশি যানজট হচ্ছে। গত ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ডিএসসিসিকে ১৫ রমজানের মধ্যে (২৪ জুলাই) উড়ালসড়কের সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী এলাকার ড্রেনেজ ও সড়ক মেরামতের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত তা মেরামত হয়নি। ডিএসসিসি’র প্রকৌশলী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উড়ালসড়কের নিচের সড়কগুলো মেরামতরে জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ সময় পর্যন্ত প্রায় ৬২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু সড়কের বেহাল চিত্র পরিবর্তন হয়নি। সড়কের যেন তেনো কাজ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। অন্যদিকে অনেক সড়কের উন্নয়নকাজ ধরাই হয়নি। ফুলবাড়ী-গুলিস্তান সড়কটি বেহাল হওয়ায় তা পরিত্যক্ত প্রায়। সেখানে শুধু কিছু মিনিবাস রাখা পার্কিং করে রাখা হয়। গুলিস্তান চৌরাস্তার মোড় থেকে উড়ালসড়কের একদিকে কাপ্তানবাজার এবং অন্যদিকে বঙ্গভবনের পাশঘেঁষা দুটি সড়কও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। জয়কালী মন্দির-যাত্রাবাড়ী এলাকায় স্যুয়ারাইজ লাইনের পাইপ ফেলা হয়েছে। কিন্তু সড়ক নির্মান হয়নি এখনো। শহীদ ফারুক সড়ক থেকে সায়েদাবাদ, স্বামীবাগ র‌্যাব কার্যালয় থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল পর্যন্ত একই চিত্র। ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “উড়ালসড়কের কাজের জন্য মেরামত করা রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নতুন করে মেরামতেও সমস্যা হচ্ছে। তা ছাড়া, বৃষ্টিতে অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও উড়ালসড়ক চালুর আগেই নিচের রাস্তাঘাট মেরামতের কাজ শেষ করার জোর চেষ্টা চলছে।” যাত্রাবাড়ী সংলগ্ন কুতুবখালী ফাতেমা নাজ ফিলিং স্টেশনের সামনে তিনটি অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায়ও রাস্তার মধ্যে গড়ে উঠেছে দোকানপাট। এগুলো সেতুর নিচের রাস্তাকে সংকুচিত করেছে। এ অবস্থায় উড়াল সড়কটি উদ্বোধন (খুলে দেওয়া) হলে যানজট বাড়বে বৈ কমবে না; এমনটাই মনে করছেন এলাকাবাসী।

নিজস্ব প্রতিনিধি